গল্পকার কৃষ্ণ জলেশ্বরের নিজেকে দেখার চোখ গল্পগ্রন্থটি গল্পকথকের মতো অন্তরঙ্গ রচনাশৈলীতে রচিত। মোট দশটি গল্প নিয়ে গ্রন্থিত এই বইতে মানব মন ও মস্তিষ্কে জাগ্রত এক ধরা-অধরার চিরায়ত প্রেমবোধের বর্ণনা ফুটে উঠেছে। প্রেম, দ্রোহ, আবেগ আর নির্মোঘ বাস্তবতায় প্রতিবিম্বিত প্রেম যেন এক গভীর আবছায়া আয়না, যেখানে স্পষ্ট করে কিছুই দেখা যায়...
আরো পড়ুন
গল্পকার কৃষ্ণ জলেশ্বরের নিজেকে দেখার চোখ গল্পগ্রন্থটি গল্পকথকের মতো অন্তরঙ্গ রচনাশৈলীতে রচিত। মোট দশটি গল্প নিয়ে গ্রন্থিত এই বইতে মানব মন ও মস্তিষ্কে জাগ্রত এক ধরা-অধরার চিরায়ত প্রেমবোধের বর্ণনা ফুটে উঠেছে। প্রেম, দ্রোহ, আবেগ আর নির্মোঘ বাস্তবতায় প্রতিবিম্বিত প্রেম যেন এক গভীর আবছায়া আয়না, যেখানে স্পষ্ট করে কিছুই দেখা যায় না। লেখকের উপলব্ধিতে এ বিশ্বের প্রকৃতি ও জীবসত্তার অনুভূতিতে সঞ্চারিত রয়েছে যে অপার্থিব বোধ তা জলসিক্ত এক প্রেমের অনুভূতি মাত্র। কিন্তু বাস্তব জীবনের প্রতিঘাতে সে বোধ বিরহে রূপান্তরিত হয়। বিষয়বস্তু কিংবা বর্ণনাশৈলীতে গল্পগুলো গতানুগতিক ধারার বাইরে অবস্থান নিয়েছে। সূক্ষ্ম রসবোধ ছড়িয়ে লেখক পাঠককে টেনে নেন গল্পের অতল গভীরে। প্রচলিত এবং অপ্রচলিত বিষয়ের ভেতর দিয়ে অনায়াসে তিনি পৌঁছে যান গল্পের চূড়ান্ত সীমায়। ভিন্ন ভিন্ন গল্পে বর্ণনাভঙ্গি পরিবর্তিত হতে থাকে। ভাষার ক্ষেত্রে রোমান্টিসিজম ও রিয়েলিজমের মধ্যে একটা সমন্বয় দেখতে পাওয়া যায়। এই গল্পগুলোকে বেঁচে থাকার দিনলিপি বলা চলে। ভালোবাসার দিগন্ত ছুঁয়ে আছে গল্পগুলোতে, যা পাঠকদের মোহাবিষ্ট করে রাখে।
কম দেখান