নদীয়া শান্তিপুরের ভাষার আদলে গইড়া উঠা আমাদের লেখার ভাষা এই দেশের বেশিরভাগ মানুষের বুঝের বাইরের এক ভাষা যেন। এই ভাষা আমাদের ভূখ-ের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ইতিহাস অভিজ্ঞতার বাহক না। অন্য ভূগোলের প্রতিনিধিত্ব করে। এইসব কারণে প্রমিত বাংলার বদলে মূলধারার বাংলা ভাষা অর্থাৎ মান কথ্যবাংলায় সহিত্য চর্চা নিয়া অনেক কথাবার্তা হইতেছে গত...
আরো পড়ুন
নদীয়া শান্তিপুরের ভাষার আদলে গইড়া উঠা আমাদের লেখার ভাষা এই দেশের বেশিরভাগ মানুষের বুঝের বাইরের এক ভাষা যেন। এই ভাষা আমাদের ভূখ-ের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ইতিহাস অভিজ্ঞতার বাহক না। অন্য ভূগোলের প্রতিনিধিত্ব করে। এইসব কারণে প্রমিত বাংলার বদলে মূলধারার বাংলা ভাষা অর্থাৎ মান কথ্যবাংলায় সহিত্য চর্চা নিয়া অনেক কথাবার্তা হইতেছে গত কয়েক বছর ধইরা। মান কথ্যবাংলার ধারায় একটানা লিখতে থাকা সৃষ্টিশীল কবি আসমা সুলতানা শাপলা।
তার কবিতায় বাংলাদেশ নামক ভূখ-ের সাংস্কৃতিক চিহ্নগুলা খুবই সরব, এর ইতিহাস ও সামাজিক রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার ছাপ পরিষ্কার। জনমানুষের জীবনবুঝ ও আশা-আকঙ্খা তাদের ভাষায় তাদের মতো কইরা উইঠা আসে আসমার কবিতায়। তার কবিতার উপমা, রূপক, অলংকার সবই এই ভূগোলের জিনিস, অন্য দেশের অন্য জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতির অনুকরণ করে না। তার কবিতা পড়তে গিয়া পাঠক তার নিজের অকৃত্রিম আত্মার, তার দেশ ও মানুষের আদত রূপের মুখামুখি হবেন। কবিতায় তিনি আবেগের খেলা পছন্দ করেন। অনুভূতিগুলারে তুইলা ধরেন কোনো রাখঢাক ছাড়াই। সেখানে তার নিজের উপস্থিতি প্রবল। সব মিলায়ে বলা যায় আসমা সুলতানা শাপলা আমাদের সময়ের মূলধারার অন্যতম এক শক্তিশালী কবি।
কবি-ওয়াহিদ রুকন
কম দেখান