হৃদিত এগিয়ে এসে সম্মুখে দাঁড়াল। কিছুক্ষণ মেহরিমার দিকে চেয়ে থেকে ছোট্ট করে বলল “চল।” মেহরিমা ডানে মাথা নাড়াল। অতঃপর দুজন হাঁটতে বেরিয়ে পড়ল। গন্তব্যস্থল অজানা। দুজনে পাশাপাশি হাঁটছে। রাতের মৃদুমন্দ গতিতে বয়ে চলা হাওয়া দুজন কপোত কপোতীর কায়া, চিত্ত জুড়ে ঢেউ খেলে যাচ্ছে। মেহরিমা, হৃদিত দুজনের শরীরেই শুভ্র রঙা কাপড়...
আরো পড়ুন
হৃদিত এগিয়ে এসে সম্মুখে দাঁড়াল। কিছুক্ষণ মেহরিমার দিকে চেয়ে থেকে ছোট্ট করে বলল “চল।” মেহরিমা ডানে মাথা নাড়াল। অতঃপর দুজন হাঁটতে বেরিয়ে পড়ল। গন্তব্যস্থল অজানা। দুজনে পাশাপাশি হাঁটছে। রাতের মৃদুমন্দ গতিতে বয়ে চলা হাওয়া দুজন কপোত কপোতীর কায়া, চিত্ত জুড়ে ঢেউ খেলে যাচ্ছে। মেহরিমা, হৃদিত দুজনের শরীরেই শুভ্র রঙা কাপড় জড়ানো। মধ্যরাত হওয়ার দরুন মেহরিমা শরীরে আর বোরকা জড়ায়নি। ওড়নাটার একাংশ মাথায় তুলে দেওয়া। অপর অংশ প্রভঞ্জনের সহিত ওড়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। রাতের পরিবেশে নৃত্য করছে। ল্যাম্পপোস্টের আবছা নিয়ন আলোয় মেহরিমার নাকফুলসহ তার পাশের কালো তিলটা জ্বলজ্বল করছে। হৃদিত একমনে সেদিকে চেয়ে আছে। পকেট থেকে হাত সরিয়ে নাকফুলে ছুঁয়ে দিলো। মেহরিমার শীর্ণ দেহখানা ঈষৎ কেঁপে উঠল। “সবসময় যেন এই নাকফুলটা তোর নাকে থাকে, অ্যানাবেলা। কখনো খুলবি না।”
কম দেখান