উনিশ শতকের পুরোটা এবং বিশ শতকের প্রথম অর্ধেক সময় জুড়ে সমগ্র ইউরোপে এক ধরনের যুদ্ধ চলছিল- আদর্শ ও চেতনাগত যুদ্ধ। এই যুদ্ধ একটি সভ্যতার উত্থানের পথ প্রশস্ত করেছিল, যেখানে যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি বাইরের জগৎ এবং সমাজের ভেতরও পরিবর্তন আনছিল। ইতিহাস ও বুদ্ধিবৃত্তিক উন্মেষের সেই ক্রান্তিকালেই ভারতীয় উপমহাদেশ পাশ্চাত্যের আধুনিক দর্শনের...
আরো পড়ুন
উনিশ শতকের পুরোটা এবং বিশ শতকের প্রথম অর্ধেক সময় জুড়ে সমগ্র ইউরোপে এক ধরনের যুদ্ধ চলছিল- আদর্শ ও চেতনাগত যুদ্ধ। এই যুদ্ধ একটি সভ্যতার উত্থানের পথ প্রশস্ত করেছিল, যেখানে যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি বাইরের জগৎ এবং সমাজের ভেতরও পরিবর্তন আনছিল। ইতিহাস ও বুদ্ধিবৃত্তিক উন্মেষের সেই ক্রান্তিকালেই ভারতীয় উপমহাদেশ পাশ্চাত্যের আধুনিক দর্শনের ধারণার সংস্পর্শে আসে। এটি ছিল আধুনিকতার যুগ, যখন পাশ্চাত্যের বাসিন্দারা একদিকে আধিভৌতিক সত্যতা থেকে তার সমাজের অবক্ষয় ও ধ্বংস প্রত্যক্ষ করেছিল, অন্যদিকে প্রাচ্যের সমাজগুলো সামরিক বিষয়ে ইউরোপের আধিপত্য ও তাদের জ্ঞানের বিকাশ প্রত্যক্ষ করছিল।
জ্ঞানের শক্তির সঙ্গে সামরিক শক্তির সমন্বয় পাশ্চাত্যের ইচ্ছাশক্তিকে প্রাচ্যের চিন্তাচেতনার ওপর প্রত্যক্ষভাবে এবং আত্মা ও মনের ওপর পরোক্ষভাবে প্রভাববিস্তারে সক্ষম করে তোলে। যে ভিত্তির ওপর উপমহাদেশের মুসলিম বুদ্ধিজীবীরা প্রতিষ্ঠিত ছিলেন, আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শন তাদের সেই দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিকে নাড়িয়ে দিয়েছিল।
ড. আল্লামা মুহাম্মদ ইকবাল আধুনিক ভারতের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব যিনি উল্লিখিত প্রেক্ষাপটে ভারতীয় উপমহাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক দৃশ্যে আবির্ভূত হয়েছিলেন। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যর দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে মহাকবি ইকবালের চিন্তা দর্শন সাহিত্য নিয়ে তুলনামূলক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ এই বইয়ের মূল উপজীব্য।
কম দেখান