২০১২ সালের শীতে,আমার চাচাত ভাই মনির সাথে দেখা করতে আমি দিল্লি থেকে কলকাতা গিয়েছিলাম। পথপ্রদর্শক এবং সঙ্গী হিসাবে বাবা আমার সহযাত্রী হয়েছিলেন,কিন্তু তার উপস্থিতি ছিল বিষণ্ণ আর গভীর চিন্তায় নিমগ্ন,ব্যক্তিগত একটি তীব্র মনঃকষ্ট নিয়ে তিনি ভাবনায় হারিয়ে গিয়েছিলেন,যা আমি শুধু খুব অস্পষ্টভাবে অনুভব করতে পেরেছিলাম। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে আমার বাবা...
আরো পড়ুন
২০১২ সালের শীতে,আমার চাচাত ভাই মনির সাথে দেখা করতে আমি দিল্লি থেকে কলকাতা গিয়েছিলাম। পথপ্রদর্শক এবং সঙ্গী হিসাবে বাবা আমার সহযাত্রী হয়েছিলেন,কিন্তু তার উপস্থিতি ছিল বিষণ্ণ আর গভীর চিন্তায় নিমগ্ন,ব্যক্তিগত একটি তীব্র মনঃকষ্ট নিয়ে তিনি ভাবনায় হারিয়ে গিয়েছিলেন,যা আমি শুধু খুব অস্পষ্টভাবে অনুভব করতে পেরেছিলাম। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে আমার বাবা ছিলেন সবচেয়ে ছোট। এবং মনি হচ্ছে তার প্রথম জন্ম নেওয়া ভাইপো,তার সবচেয়ে বড়োভাইয়ের ছেলে। ২০০৪ সাল থেকে,যখন তার বয়স চল্লিশ,স্কিৎসোফ্রেনিয়ায় (ভগ্নমনস্কতা) আক্রান্ত রোগী হিসেবে শনাক্ত হওয়া মনিকে মানসিকভাবে অসুস্থদের পরিচর্যা করা হয় এমন একটি প্রতিষ্ঠানে অন্তরিন করে রাখা হয়েছিল (আমার বাবার ভাষায় একটি ‘পাগলা গারদে’)। বহু ওষুধ দিয়েই তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছিল – মনোবৈকল্যবিরোধী এবং উত্তেজনা প্রশমনকারী একগুচ্ছ ওষুধের সমুদ্রে ভাসমান – এবং নজর রাখা,স্নান এবং সময়মতো খাওয়ানোর জন্য তার ছিল সার্বক্ষণিক একজন পরিচর্যাকারী।
কম দেখান