জীবনানন্দের কবিতায় অতীত উঁকি দেয় প্রায়ই একই রকম করে। আমাদের মানসপটে ঝলকে ওঠে সোনালি অতীতের দৃশ্যপট ও রূপচ্ছবি। জ্বলজ্বলে যে আকাশের ছবি আঁকেন তিনি, সেই আকাশপটও অতীত বেবিলনের কোনো এক রূপসী রানির ঘাড়ের ওপর জ্বলজ্বল-করা চিতার চামড়ার উজ্জ্বল শালের মতো জ্বলজ্বল করে। যে নক্ষত্রেরা হাজার হাজার বছর আগে মরে গেছে...
আরো পড়ুন
জীবনানন্দের কবিতায় অতীত উঁকি দেয় প্রায়ই একই রকম করে। আমাদের মানসপটে ঝলকে ওঠে সোনালি অতীতের দৃশ্যপট ও রূপচ্ছবি। জ্বলজ্বলে যে আকাশের ছবি আঁকেন তিনি, সেই আকাশপটও অতীত বেবিলনের কোনো এক রূপসী রানির ঘাড়ের ওপর জ্বলজ্বল-করা চিতার চামড়ার উজ্জ্বল শালের মতো জ্বলজ্বল করে। যে নক্ষত্রেরা হাজার হাজার বছর আগে মরে গেছে তারাও তাদের রূপ নিয়ে ফিরে আসে জীবনানন্দের কল্পনার আকাশে। যেসব রূপসীকে কবি হাজার হাজার বছর আগে এশিরিয়ায়, মিশরে, বিদিশায় মরে যেতে দেখেছেন তারাও আকাশের সীমানায় কুয়াশার মধ্যে কাতারে কাতারে বর্শা-হাতে এসে দাঁড়ায়।
জীবনানন্দ দাশের কবিতায় এইসব চিত্রকল্প ও রূপচিত্র পড়তে পড়তে, মনন ও কল্পনায় এদের ছবি দেখতে দেখতে মনে হয় তাঁর কবিতায় হাজার বছরের ছবি রয়েছে। প্রায় প্রতি মুহূর্তে এখানে অতীত এসে উঁকি দেয়। প্রতিমুহূর্তে কথাটা ঠিক নয় যদিও, লিখছি আবেগবশত, তবু বলা দরকার যে এই কবির চেতনার মধ্যে হাজার বছরের অতীত সভ্যতার রূপরং উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। একেই কোনো কোনো সমালোচক বলেছেন ইতিহাসচেতনা। এলিয়ট একেই বলেন-A sense of the time-less as well as the temporal and of the timeless and of the temporal together.
কম দেখান