‘ইচ্ছে আছে এবার একটা বইয়ে হাত দেবো—নাম দেবো তার ইছামতী। বড় উপন্যাস। তাতে থাকবে ইছামতীর ধারের গ্রামগুলির অপূর্ব জীবন প্রবাহের ইতিহাস—বন নিকুঞ্জের মরা-বাঁচার ইতিহাস। কত সূর্যোদয়, কত সূর্যাস্তের নিষ্কিঞ্চন, শান্ত ইতিহাস।’ লিখেছিলেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে, হে অরণ্য কথা কও— দিনলিপিতে। ১৯৫০ সালে মিত্রালয় প্রকাশ করে তাঁর শেষ উপন্যাস— ইছামতী।
.
.
মহাকাব্যিক...
আরো পড়ুন
‘ইচ্ছে আছে এবার একটা বইয়ে হাত দেবো—নাম দেবো তার ইছামতী। বড় উপন্যাস। তাতে থাকবে ইছামতীর ধারের গ্রামগুলির অপূর্ব জীবন প্রবাহের ইতিহাস—বন নিকুঞ্জের মরা-বাঁচার ইতিহাস। কত সূর্যোদয়, কত সূর্যাস্তের নিষ্কিঞ্চন, শান্ত ইতিহাস।’ লিখেছিলেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে, হে অরণ্য কথা কও— দিনলিপিতে। ১৯৫০ সালে মিত্রালয় প্রকাশ করে তাঁর শেষ উপন্যাস— ইছামতী।
.
.
মহাকাব্যিক আখ্যানের ভরকেন্দ্রে এক কুলীন ব্রাহ্মণ, ভবানী বাঁড়ুয্যে যার নাম। তিলু, বিলু আর নিলু—তিন সহোদরাই যার স্ত্রী। ভবানী মানুষের মধ্যে ঈশ্বরকে খুঁজে বেড়ান। ‘ইছামতী’ হয়ে উঠেছে আবহমান কালের এক প্রতীকে। নীলচাষি-নিপীড়ক শিপটন, ব্রাহ্মণ দেওয়ান রাজারাম রায়, আমিন প্রসন্ন চক্কত্তি এবং অন্ত্যজ রমণী গয়াকে নিয়েই। উপন্যাসের বিষয় নীলচাষ ও নীলবিদ্রোহ হলেও, ঘটনার ঘনঘটা, উত্তেজনা নেই। প্রজাপীড়ন যেমন রয়েছে, প্রজাদের প্রতিবাদও রয়েছে। আছে হিংসার সমস্ত উপাদানই, কিন্তু প্রকাশ সংযত, সংহত। মোল্লাহাটি নীলকুঠি নিয়ে বড় উপন্যাস ঠিকই লিখেছেন বিভূতিভূষণ। যেমনটা তলস্তয় লিখেছিলেন, ‘ওয়ার অ্যান্ড পিস’। ঔপনিবেশিক বাংলাকে তন্ন তন্ন করে আবিষ্কার করেছিলেন বিভূতিভূষণ, স্পর্শ করেছিলেন হিংস্র বাস্তবতাকে।
কম দেখান