Product Specification & Summary
কয়েকজন মহাপ্রতিভাবান মানুষ অদ্ভুত এক পাগলামি শুরু করেছিলেন। তাদের মধুর সেই পাগলামিতে জন্ম হয়েছিল সাহিত্য, বিজ্ঞান, ইতিহাস, গণতন্ত্র, থিয়েটার, চিকিৎসা, দর্শনসহ মানুষের জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রায় সবকিছু। সেই পাগলামিকে একটি মাত্র মিষ্টি গল্পে নিয়ে এসেছেন কথা সাহিত্যিক সুজন দেবনাথ। সক্রেটিস একজন তুমুল প্রেমিক। তিনি স্ত্রীর সাথে খুনসুটিমাখা ঝগড়া করছেন,...
আরো পড়ুন
Product Specification & Summary
কয়েকজন মহাপ্রতিভাবান মানুষ অদ্ভুত এক পাগলামি শুরু করেছিলেন। তাদের মধুর সেই পাগলামিতে জন্ম হয়েছিল সাহিত্য, বিজ্ঞান, ইতিহাস, গণতন্ত্র, থিয়েটার, চিকিৎসা, দর্শনসহ মানুষের জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রায় সবকিছু। সেই পাগলামিকে একটি মাত্র মিষ্টি গল্পে নিয়ে এসেছেন কথা সাহিত্যিক সুজন দেবনাথ। সক্রেটিস একজন তুমুল প্রেমিক। তিনি স্ত্রীর সাথে খুনসুটিমাখা ঝগড়া করছেন, চুপিচুপি যাচ্ছেন শহরের সবচেয়ে বুদ্ধিমতী মেয়ে আসপাশিয়ার কাছে, আবার বয়স্ক এক নারীর কাছে শিখছেন প্রেম। সেই প্রেম থেকে প্লেটো খুঁজছেন শরীরের আকর্ষণ ছাড়া সাধু-সন্ন্যাসী ধরনের নতুন এক প্রেম। তার নাম প্লেটোনিক প্রেম। ইতিহাসের জনক হেরোডটাস লিখতে শুরু করছেন পৃথিবীর প্রথম ইতিহাস গ্রন্থ। থেলিস নামে এক লোকের ভাবনা থেকে জন্ম নিচ্ছে এক নতুন জিনিস, নাম বিজ্ঞান। শুরু হচ্ছে অলিম্পিক গেমস, পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম সভ্য উপায়ে মানে মারামারি কাটাকাটি না করে বীর হওয়ার লড়াই। এথেন্সের মানুষ আবিষ্কার করছে গণতন্ত্র। পাহাড়ের উপরে বসছে পৃথিবীর প্রথম সংসদ। পিথাগোরাস বের করেছেন জ্যামিতির সূত্র, গোল্ডেন রেশিও। সেই রেশিও দিয়ে দুনিয়ার সবচেয়ে সুন্দর ভবন পার্থেনন ডিজাইন করছেন শিল্পী ফিডিয়াস। চিকিৎসাবিদ্যার জনক হিপোক্রাটিস ডাক্তারদের জন্য লিখতে বসলেন ‘হিপোক্রাটিক শপথ’। সক্রেটিস খালি পায়ে হেঁটে হেঁটে দুষ্টুমি মিশিয়ে ‘সুন্দর জীবন’-এর গল্প বলছেন। তার দুষ্টুমিভরা প্রশ্ন থেকে প্লেটো শিখছেন জীবনের অর্থ। জন্ম হচ্ছে দর্শন ও নৈতিকতা। ম্যারাথন ময়দান থেকে এক দৌড়ে যুদ্ধের খবর আনতে গিয়ে মারা যাচ্ছেন ফিডিপিডিস। সেই থেকে শুরু হচ্ছে ম্যারাথন দৌড়। লাখো সৈন্যের মোকাবেলায় মাত্র তিনশ জনকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন স্পার্টার রাজা লিওনিদাস। এথেন্সের থিয়েটারে এসেছেন প্রথম অভিনয় শিল্পী থেসপিস। মঞ্চে উঠেছেন ট্রাজেডি নাটকের জনক ইস্কিলাস, অভিনয় করছেন ‘প্রমিথিউস বাউন্ড’। সফোক্লিস লিখতে বসেছেন সর্বকালের সেরা ট্রাজেডি ‘রাজা ইদিপাস’। হোমারের কবিতা আবৃত্তি করছেন ইউরিপিডিস। তিনি পাহাড়ের গুহায় বসে লিখছেন ‘ট্রয়ের মেয়েরা’। কমেডি নাটকের জনক এরিস্টোফানিস ভয়ংকর মিথ্যা কথায় সক্রেটিসকে আক্রমণ করে লিখছেন প্রহসন নাটক ‘মেঘ’। সেই ক্ষোভে প্লেটো তার সব নাটক কবিতা পুড়িয়ে দিয়ে কবি থেকে হয়ে যাচ্ছেন কঠিন দার্শনিক। তার আদর্শরাষ্ট্র থেকে নির্বাসন দিচ্ছেন কবি-সাহিত্যিকদের। কিছু মানুষের গোঁড়ামির জন্য হত্যা করা হচ্ছে সক্রেটিসকে। তিনি আসামী হয়ে দাঁড়াচ্ছেন আদালতে, পালানোর সবরকম সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি পালাচ্ছেন না, শান্তভাবে চুমুক দিচ্ছেন হেমলক পেয়ালায়। পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে সৃষ্টিশীল সময়ে মানুষের জ্ঞানের জন্মের রোমাঞ্চকর বিষয়গুলো জীবন্ত করে একটি অত্যন্ত সুখপাঠ্য গল্প বাংলাভাষীদের জন্য নিয়ে এসেছেন সুজন দেবনাথ। সেই মিষ্টি গল্পটির নাম-‘হেমলকের নিমন্ত্রণ’।
কম দেখান