আজ থেকে পঞ্চপঞ্চাশৎ ঋতু পূর্বে নাটক দমের মাদার রচিত হবার পর কোনো এক মধ্যারাতে গাঙকুমারীর সৃজনোন্মুখ ধমনি যখন উত্তাল হলো-তখন তার দুটি ব্রহ্মপুত্রআঁখি দেখতে পেয়েছিলাম। সে তো নারী-তার আঁখি কেন ব্রহ্মপুত্ররূপী! অন্তর মেলে দেখি মেঘনার বৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে দুঃখিনী সেই আঁখি। এই আঁখি কোন নারীর?
কে সে? নাম কী তার?...
আরো পড়ুন
আজ থেকে পঞ্চপঞ্চাশৎ ঋতু পূর্বে নাটক দমের মাদার রচিত হবার পর কোনো এক মধ্যারাতে গাঙকুমারীর সৃজনোন্মুখ ধমনি যখন উত্তাল হলো-তখন তার দুটি ব্রহ্মপুত্রআঁখি দেখতে পেয়েছিলাম। সে তো নারী-তার আঁখি কেন ব্রহ্মপুত্ররূপী! অন্তর মেলে দেখি মেঘনার বৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে দুঃখিনী সেই আঁখি। এই আঁখি কোন নারীর?
কে সে? নাম কী তার? তবে কি সে আমিই! না-সে অঞ্জলি। অঞ্জলি কে? হয়তো অঞ্জলি কেউ নয়-আবার পৃথিবীর সব নারীই হয়তো অঞ্জলি। যে কেউ নয়-তারও তো কেউ না কেউ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকে-থাকে নাকি! এমন সংশয়পূর্ণ ভাবনারা ঘুরপাক খায় করোটির ভেতর। গাঙকুমারী সৃষ্টিনিমিত্ত আমি গর্ভধারণ করি-পরবর্তী ষত্রিংশৎ ঋতু পাঁজরের খাঁচায় সে আটকে থাকে নিঃশব্দে। আমি ব্যাকুল হই কিন্তু জমাট বাঁধে না গাঙকুমারী-জন্মজল না পাওয়া ডিম্বাণুর মতো ঝরে যায়। মাঝেমধ্যেই আষাঢ়-শ্রাবণের একেকটি বর্ষণমুখর রাত পূর্ণিমা আর অমাবস্যা ফেলে যায়.....
কম দেখান