"শিক্ষিত বাঙালি মাত্রেই জানেন যে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের জন্য ১৯১৩ সালে। নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। নোবেল পুরস্কার কমিটিতে নিশ্চয়ই বাংলা গীতাঞ্জলি পাঠানো হয় নি, কারণ বাংলা পড়ার মানুষজন তো সেখানে থাকার কথা নয়। ঠিকই, কমিটির সমুখে ছিল Song Offerings যা বাংলা ‘গীতাঞ্জলি’র ভাষান্তর হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু...
আরো পড়ুন
"শিক্ষিত বাঙালি মাত্রেই জানেন যে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের জন্য ১৯১৩ সালে। নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। নোবেল পুরস্কার কমিটিতে নিশ্চয়ই বাংলা গীতাঞ্জলি পাঠানো হয় নি, কারণ বাংলা পড়ার মানুষজন তো সেখানে থাকার কথা নয়। ঠিকই, কমিটির সমুখে ছিল Song Offerings যা বাংলা ‘গীতাঞ্জলি’র ভাষান্তর হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু ‘গীতাঞ্জলি’ ও Gitanjali (Song Offerings) হুবহু একই বই নয়। বাংলা গীতাঞ্জলি’র ১০৪ কবিতার ভিতর থেকে মাত্র ৫৩টি কবিতা কবি ইংরেজি Gitanjali-তে নিয়েছিলেন, বাকি কবিতাগুলো । ‘গীতিমাল্য’ ‘নৈবেদ্য’ ‘খেয়া’ ‘শিশু’ ‘কল্পনা’ ‘চৈতালী’ উৎসর্গ’ ‘স্মরণ’ ইত্যাদি কাব্য থেকে নির্বাচন করেছিলেন, ‘অচলায়তন’ নাটক থেকেও ১টি গান সেখানে ছিল। সুইডিশ কমিটির অন্যতম সদস্য পণ্ডিত কবি পের্ হাষ্ট্রয়েম্ কমিটির কাছে যে রিপোর্ট পাঠান তাতে বলেছিলেন : ‘যাই হোক, একথা নিশ্চিত যে, ১৮৩২-এ গ্যোয়টের মৃত্যুর পরে য়োরোপে এখন কোনো কবি নেই যিনি মহৎ মানবতাবাদ, নিষ্কলুষ মহানুভবতা এবং ধ্রুপদী সাত্ত্বিকতায় টেগোরের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন।’ "
কম দেখান