শৈশব থেকে বন্ধুত্ব ছিল আমান ও জয়তির। মুখ ফুটে ঠোঁট ছুঁয়ে যখন বললো ‘ভালোবাসি’ তখন শুরু হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ। জয়তিকে ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায় পাকিস্তানি মিলিটারি। ক্যাম্প ওঠে গেলে আমেরিকান মিশনারি মাদার মেরিয়ান আশ্রয় দেয় তাকে। তারই সাথে চলে আসে নিউইয়র্কে। লং আইল্যান্ডে রনকনকোমা লেকের ধারে বাসা নিয়ে থাকে জয়তি।
মুক্তিযুদ্ধে...
আরো পড়ুন
শৈশব থেকে বন্ধুত্ব ছিল আমান ও জয়তির। মুখ ফুটে ঠোঁট ছুঁয়ে যখন বললো ‘ভালোবাসি’ তখন শুরু হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ। জয়তিকে ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায় পাকিস্তানি মিলিটারি। ক্যাম্প ওঠে গেলে আমেরিকান মিশনারি মাদার মেরিয়ান আশ্রয় দেয় তাকে। তারই সাথে চলে আসে নিউইয়র্কে। লং আইল্যান্ডে রনকনকোমা লেকের ধারে বাসা নিয়ে থাকে জয়তি।
মুক্তিযুদ্ধে গ্রেনেড বিস্ফোরণে আহত পায়ের চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাড়ি দেয় আমান। অবশেষে থিতু হয় নিউইয়র্কে। অনুকূল ভাগ্যের কারণে দেখা পায় জয়তির। মিলিটারির বর্বরতায় বিক্ষত শরীর নিয়ে আমানকে ঠকাতে চায় না জয়তি। রনকনকোমা লেকের জল তাকে টানে।
চারশ’ বছর আগে লেকের ধারে বাস করত ইন্ডিয়ান ট্রাইব। তার রাজার মেয়ে প্রেমে পড়ে এক ইংলিশ কাঠুরিয়ার। মিলন নিষিদ্ধ করে বাবা। রনকনকোমা লেকের জলে আত্মাহুতি দেয় প্রিন্সেস। সেই থেকে প্রতিবছর জলে ডুবিয়ে জীবন হরণ করে তার অতৃপ্ত প্রেতাত্মা। মানুষ বিশ্বাস করে আসছে এই উপাখ্যান।
আমানের শুদ্ধ প্রেম প্রাণনাশিনী প্রেতাত্মার ভর থেকে রক্ষা করতে পারবে কী জয়তিকে? কাকে জলে ডুবিয়ে শাপের সন্তুষ্টি হবে তবে?
কম দেখান