দত্তা শরৎচন্দ্রের কালজয়ী রোমান্টিক উপন্যাস হিসেবে আজও এ কী রকম সমাদৃত প্রকাশের ১০৩ বছর পরেও। বাংলার এই জনপ্রিয় লেখক তাঁর লেখনিতে সব সময়ই কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজের অসামঞ্জস্যতা, দারিদ্র, অবহেলিত নারীদের দুঃখগাথাসহ বিভিন্ন সামাজিক ক্ষতগুলোর প্রকাশ ঘটিয়েছেন। দত্তা রোমান্টিক উপন্যাস হলেও তাই এটি অন্তঃর্নিহিত অনেক তাৎপর্যই বহন করে, যা গভীরভাবে উপলব্ধির বিষয়।...
আরো পড়ুন
দত্তা শরৎচন্দ্রের কালজয়ী রোমান্টিক উপন্যাস হিসেবে আজও এ কী রকম সমাদৃত প্রকাশের ১০৩ বছর পরেও। বাংলার এই জনপ্রিয় লেখক তাঁর লেখনিতে সব সময়ই কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজের অসামঞ্জস্যতা, দারিদ্র, অবহেলিত নারীদের দুঃখগাথাসহ বিভিন্ন সামাজিক ক্ষতগুলোর প্রকাশ ঘটিয়েছেন। দত্তা রোমান্টিক উপন্যাস হলেও তাই এটি অন্তঃর্নিহিত অনেক তাৎপর্যই বহন করে, যা গভীরভাবে উপলব্ধির বিষয়।
মানুষ বড়ো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পারিপার্শ্বিকতার পাশাপাশি তাদের চিন্তাভাবনা এবং স্বপ্নের মাঝে আমূল পরিবর্তন ঘটতে থাকে। কখন কার জীবন কীভাবে পরিবর্তিত বা আবর্তিত হবে, কখন কোন পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যেতে হবে সেটা আগে থেকে অনুমান করা প্রায় অসম্ভব।
স্কুল পড়–য়া তিন বন্ধু বনমালীবাবু, রাসবিহারী আর জগদীশ ছিল অন্তঃপ্রাণ। তাদের ধারণা ছিল কোনোদিন তাদের কেউ আলাদা করতে পারবে না। তাই একদিন বটবৃক্ষকে সাক্ষী মেনে প্রতিজ্ঞা করেছিলÑতারা কেউ বিয়ে করবে না, অনেক অর্থ উপার্জন করবে এবং তাদের সম্মিলিত উপার্জন একসঙ্গে জমিয়ে সামাজিক কাজে ব্যয় করবে।
কিন্তু বড়ো হয়ে এক সময় তারা এ প্রতিজ্ঞা ঠিক ভুলে গেল। বনমালীবাবু, রাসবিহারী ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষা নিয়ে বিয়ে করে কলকাতা পাড়ি জমাল আর জগদীশ তার হিন্দু ধর্ম আঁকড়ে ধরে সেই পাড়া গায়েই পড়ে রইল, হতদরিদ্র জীবনের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ চলতে লাগল।
কম দেখান