কোমর বা কাঁখ পর্যন্ত জলে ডোবা এই গাছগুলো, হিজল ও তমাল তাদের ছড়ানো ডালপালা বিশেষ করে শুকনো হওয়া ডালগুলোর এক নৈসর্গিক সৌন্দর্য তৈরি হয়েছে রাতারগুলে। শৈশবে দেখেছি ভরাবর্ষার দিনগুলোয় মামাবাড়ির গ্রামীণ বনের গাছপালাগুলো এভাবেই ডুবে যেত বন্যাজলে। পরিবেশ ও দৃশ্য আমার অচেনা নয় একেবারে। হয়তো এতটা গভীরতা নয়, সে বৃক্ষাবলির...
আরো পড়ুন
কোমর বা কাঁখ পর্যন্ত জলে ডোবা এই গাছগুলো, হিজল ও তমাল তাদের ছড়ানো ডালপালা বিশেষ করে শুকনো হওয়া ডালগুলোর এক নৈসর্গিক সৌন্দর্য তৈরি হয়েছে রাতারগুলে। শৈশবে দেখেছি ভরাবর্ষার দিনগুলোয় মামাবাড়ির গ্রামীণ বনের গাছপালাগুলো এভাবেই ডুবে যেত বন্যাজলে। পরিবেশ ও দৃশ্য আমার অচেনা নয় একেবারে। হয়তো এতটা গভীরতা নয়, সে বৃক্ষাবলির ভেতর হিজল, তমালও ছিল, তবে রাতারগুল নিরবচ্ছিন্ন জলসাম্রাজ্য আর ঘন গাছপালা নিয়ে আলাদা সৌন্দর্যের তো বটেই। তবে, সৈয়দ মুজতবা আলীর কথা ধার নিয়েই বলি, এ নিয়ে গুলবাজদের এত গুল শুনেছি, তারা কখনও কখনও গুল মোহাম্মদ বা গুলজারি লাল নন্দও হয়েছে, কিংবা কখনও বিদেশি পর্যটকদের কাছে প্রতিভাত হয়েছে ডিউক অব গুলস্টার কিংবা দ্য গুল হিসেবে, কিন্তু তারা যে গুলমগীর হতে পারেনি তা নিয়ে আমি নিঃসংশয়। তারা গুলমহলও বানাতে পারেনি, কেননা রাতারগুল পুনরাবৃত্তিমূলক, এখানে নব নব সৌন্দর্যের উন্মোচন নেই। জানিনা ৯৭২ একরের দূর দূর প্রান্তে আর কী কী রহস্য আছে তবে এখানকার মাঝিরা পর্যটকদের একটি নির্দিষ্ট জলবেষ্টিত এলাকার ভেতরেই ঘোরায়, ফটো স্টুডিওগুলো এখানেই, বাঁদরের নাচানাচি আর সংগীতসাধনা এই সীমিত অঞ্চলের ভেতরে কেবলি ঘুরপাক খায়। মাঝি জানাল বছরব্যাপী রাতারগুলে পানি থাকে। শুকনো মৌসুমে অবশ্য কিছু জায়গা শুকিয়ে যায়, তখন নেমে হাঁটাচলাও করা যায়।
কম দেখান