জীবন চলার পথে কত কত মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়। কিন্তু সবাই তো আর হৃদয় স্পর্শ করতে পারেন না। কেউ কেউ নিকটতম, কেউ কেউ ঘনিষ্ঠতর হয়ে ওঠেন। অবশ্য সবার জানাশোনার পরিধি তো এক রকম হয় না। এটা নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সমাজের কোন ঘরানায় বসবাস বা চলাচল করেন, তার ওপর। সেই...
আরো পড়ুন
জীবন চলার পথে কত কত মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়। কিন্তু সবাই তো আর হৃদয় স্পর্শ করতে পারেন না। কেউ কেউ নিকটতম, কেউ কেউ ঘনিষ্ঠতর হয়ে ওঠেন। অবশ্য সবার জানাশোনার পরিধি তো এক রকম হয় না। এটা নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সমাজের কোন ঘরানায় বসবাস বা চলাচল করেন, তার ওপর। সেই অনুযায়ী প্রত্যেকেরই গড়ে উঠে নিজস্ব একটা জগত। একইসঙ্গে পেশাও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এই গ্রন্থকার সংবাদমাধ্যমে কর্মরত থাকায় সমাজের নানান স্তরের মানুষের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ গড়ে ওঠেছে। তাঁদের মধ্যে মোটাদাগে সবাই কমবেশি সমাজে সুপরিচিত কিংবা স্বল্প পরিচিত। আছেন কবি, ছড়াকার, গদ্যকার, চলচ্চিত্রকার, ক্রীড়ালেখক, সাংবাদিক, ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া সংগঠক, মিডিয়াব্যক্তিত্ব, আমলাসহ বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষ। সমাজ বিকাশে তাঁরা সবাই নিশ্চয়ই কিছু না কিছু অবদান রেখেছেন বা রাখছেন। তাঁদের সঙ্গে লেখকের যে অন্তরঙ্গতা, তা তাঁর মিষ্টি কলমে বাঙ্ময় হয়েছে। স্পষ্ট হয়েছে পারস্পরিক নিবিড়তা ও নৈকট্য। কাছ থেকে দেখা এবং সম্পর্কের বয়ানের মধ্য দিয়ে অজানা অনেক বিষয়ও উঠে এসেছে।
আসলে এক একজন মানুষ এক একজনের কাছে ভিন্নভাবে ধরা দেন। ব্যক্তিগত সেই অনুভব, অনুভূতি ও অন্তরঙ্গতা সহজেই অনুধাবন করা যায়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চেনা
মানুষের মৃত্যু তাঁকে দুলিয়ে দিয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে উপরুদ্ধ হয়ে কান্নাভেজা চোখে তাঁকে লিখতে হয়েছে অবিচুয়ারি। তাতে অশ্রু লেগে থাকলেও স্বল্প পরিসরে পরিস্ফুটিত হয়ে উঠেছে চলে যাওয়া মানুষটির সুকীর্তি ও ব্যক্তিত্বের মাধুর্য। পরিচিত বলয়ের বাইরেও দেশ-বিদেশের নানান মাধ্যমের বিখ্যাত মানুষেরা তাঁদের কীর্তি দিয়ে লেখকের মন ছুঁয়ে যান। কারও অভিনয়, কারও সংগীত, কারও কবিতা, কারও ক্রীড়াশৈলী তাঁর অন্তরে দাগ কেটেছে। চারপাশকে সুরভিত করে যাঁরা চলে গেছেন, তাঁদের নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে লিখেছেন এবং কারও কারও কথা সময় নিয়ে তুলে ধরেছেন গবেষকের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে। তবে যাঁকে নিয়েই তিনি লিখেছেন, ছোট কিংবা বড় পরিসরে, প্রতিটি লেখাই পাঠককে আবিষ্ট করে রাখবে। এটাই এ গ্রন্থের বড় আকর্ষণ।
কম দেখান