আচার্য দীনেশচন্দ্র সেনের কাছে বাঙালির ঋণ কতখানি সেটুকু বোঝাবার জন্যও আমাদের জানা দরকার যে কেমন প্রতিক‚ল পরিবেশে কেবল আত্মপ্রত্যয় ও ঐকান্তিকতার ওপর নির্ভর করে বাংলাভাষা ও সাহিত্যের শিকড়সন্ধানে দীনেশচন্দ্র ব্রতী হয়েছিলেন। শুধু ইতিহাসসন্ধানী গবেষণা করে বই লেখা নয়, সেই বই ছাপাতে তাকে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়েছে। তখন ত্রিপুরার ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন...
আরো পড়ুন
আচার্য দীনেশচন্দ্র সেনের কাছে বাঙালির ঋণ কতখানি সেটুকু বোঝাবার জন্যও আমাদের জানা দরকার যে কেমন প্রতিক‚ল পরিবেশে কেবল আত্মপ্রত্যয় ও ঐকান্তিকতার ওপর নির্ভর করে বাংলাভাষা ও সাহিত্যের শিকড়সন্ধানে দীনেশচন্দ্র ব্রতী হয়েছিলেন। শুধু ইতিহাসসন্ধানী গবেষণা করে বই লেখা নয়, সেই বই ছাপাতে তাকে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়েছে। তখন ত্রিপুরার ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন গ্রিয়ার সাহেব। তার কাছ থেকে আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন একটি সুপারিশপত্র নিয়ে ত্রিপুরার মহারাজা বীরচন্দ্র মানিক্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তার আনুক‚ল্যে ১৮৯৬ সালে কুমিল্লার চৈতন্য প্রেস থেকে প্রথম বঙ্গভাষা ও সাহিত্য প্রকাশিত হয়।
বঙ্গভাষা ও সাহিত্য প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্বৎসমাজে আলোড়ন পড়ে যায়, প্রধানত বাংলার সাহিত্যসেবীরা এই আকর গ্রন্থখানির উচ্ছ¡সিত প্রশংসা করেন। রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী দীর্ঘ আলোচনার পর গ্রন্থটির অবদানের কথা উল্লেখ করে বাংলা সাহিত্যে এমন একখানি ইতিহাসগ্রন্থ যে বহুদিনের অভাব পূরণ করবে তা মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করলেন। রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় প্রদীপ পত্রিকায় গ্রন্থটি নিয়ে মনোজ্ঞ আলোচনা করে দীনেশচন্দ্রের কাছে বাঙালির ঋণ স্বীকার করেন।
কম দেখান