সারা দুনিয়ার অসংখ্য দর্শকের মতো আমিও চ্যাপলিনের ছবি দেখে বিমোহিত হই। অভিভাবকদের নির্দয় 'না' মাঝে মধ্যে অস্বীকার করে ছায়াছবি দেখা শুরু করেছি কিশোর বয়সে। সে বয়সেই চ্যাপলিনের কয়েকটি ক্ষুদ্র নকশা দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম। চ্যাপলিনের দীর্ঘ-পরিণত ছবিগুলো দেখেছি পরে। চ্যাপলিনের ছবির সরলতা এবং জটিল প্রশ্ন উভয় আমার কাছে আনন্দময় সামগ্রী। চ্যাপলিনের...
আরো পড়ুন
সারা দুনিয়ার অসংখ্য দর্শকের মতো আমিও চ্যাপলিনের ছবি দেখে বিমোহিত হই। অভিভাবকদের নির্দয় 'না' মাঝে মধ্যে অস্বীকার করে ছায়াছবি দেখা শুরু করেছি কিশোর বয়সে। সে বয়সেই চ্যাপলিনের কয়েকটি ক্ষুদ্র নকশা দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম। চ্যাপলিনের দীর্ঘ-পরিণত ছবিগুলো দেখেছি পরে। চ্যাপলিনের ছবির সরলতা এবং জটিল প্রশ্ন উভয় আমার কাছে আনন্দময় সামগ্রী। চ্যাপলিনের সব ছবি দেখার সুযোগ আমার হয় নি। হয়তো আর হবে না। সেজন্য অনুতাপ করব না। চ্যাপলিনর ছবি দেখে যা বুঝেছি, চ্যাপলিনের ছবি প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের আলোচনা পাঠ করে যা মনে হয়েছে তাই সহজভাবে এ গ্রন্থে উপস্থিত করলাম।
পাক্ষিক তারকালোক পত্রিকায় ভাঁড় নয় ভবঘুরে নয় শিরোনামে চ্যাপলিনের ছবি প্রসঙ্গে আমার ধারাবাহিক রচনা প্রকাশ হতে থাকে। দশটি সংখ্যায় লেখার পরে আর সেই লেখা এগোয় নি। সে লেখাগুলো এবং আরো বিস্তৃত তথ্য ও সূত্র সংযোগ করে এ গ্রন্থটি সজ্জিত করা হলো। তারকালোকের কাছে আমার অশেষ ঋণ স্বীকার করছি।
ঢাকার ব্রিটিশ কাউন্সিল লাইব্রেরি এবং বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ গ্রন্থাগার থেকে চ্যাপলিন বিষয়ে বিশেষ কয়েকটি গ্রন্থ পেয়েছি। উভয় গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ সে গ্রন্থগুলো দীর্ঘদিন ধরে কাছে রাখার অনুমতি এবং ব্যবহার করার সুযোগ দিয়ে আমাকে বাধিত করেছেন। প্রায় দুষ্প্রাপ্য এ গ্রন্থগুলো আমার কাজের বিশেষ সহায় হয়েছে। ব্রিটিশ কাউন্সিল লাইব্রেরি এবং ফিল্ম আর্কাইভ কর্তৃপক্ষকে আমি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
আমেরিকান কালচারাল সেন্টার ১৯৮৪-৮৫ সালে দু দফায় চ্যাপলিনের পাঁচটি পূর্ণ দৈর্ঘ্য ছবি প্রদর্শন করেছে। আমাকে সে ছবিগুলো একাধিকবার (কখনো অনুরোধে বিশেষ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা) দেখানোর সুযোগ দানের জন্য আমেরিকান কালচারাল সেন্টারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বাংলা একাডেমী কর্তৃপক্ষ, বিশেষ করে ভাষা, সাহিত্য সংস্কৃতি ও পত্রিকা বিভাগ এ গ্রন্থটি প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করে আমাকে কৃতার্থ করেছেন।
গ্রন্থটিকে যতদূর সম্ভব সুদৃশ্য ও ছবিসহ সমৃদ্ধ করে প্রকাশ করার জন্য বাংলা একাডেমী প্রেসের ব্যবস্থাপক জনাব ওবায়দুল ইসলাম এবং অন্যান্য কর্মকর্তা বিস্তর সাহায্য করেছেন। সকলকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
কম দেখান