নৌকা চলছে সামনে। পানিতে ছলাৎ ছলাৎ দাঁড় বাইবার শব্দ হচ্ছে। চারিদিক অসম্ভব রকমের নিরব। যেন পানিতে পাতা পড়লেও শব্দ হবে। এ মুহূর্তে বৈঠা মারার শব্দ ছাড়া আর কোন শব্দ নেই। মারিয়া পাথর হয়ে বসে আছে। ভয়ে যেন কাঁদতেও ভুলে গেছে।
রাত এখনও ততটা গভীর হয়নি। পরিবেশের কারণে মনে হচ্ছে নিশুতি...
আরো পড়ুন
নৌকা চলছে সামনে। পানিতে ছলাৎ ছলাৎ দাঁড় বাইবার শব্দ হচ্ছে। চারিদিক অসম্ভব রকমের নিরব। যেন পানিতে পাতা পড়লেও শব্দ হবে। এ মুহূর্তে বৈঠা মারার শব্দ ছাড়া আর কোন শব্দ নেই। মারিয়া পাথর হয়ে বসে আছে। ভয়ে যেন কাঁদতেও ভুলে গেছে।
রাত এখনও ততটা গভীর হয়নি। পরিবেশের কারণে মনে হচ্ছে নিশুতি রাত। কোথাও এতটুকু জন মানুষের সাড়া নেই। থাকার কথাও নয়। এই অঞ্চলে এখনও পর্যটকদের তেমন আনাগোনা নেই। কোনো পর্যটনকেন্দ্রও সেভাবে গড়ে ওঠেনি। মাত্র কিছুদিন হয় বড় পাহাড়ে দুটো নতুন রিসোর্ট হয়েছে। আকরামের সুবাদে সেখানে যাবার সুযোগ হয়েছিল বটে মারিয়ার। নয়ত ওর অবস্থাও মক্কার মানুষ হজ পায় না ধরনেরই হতো। মারিয়াদের বাড়ির এই অঞ্চলটা মূল লোকালয় থেকে সামান্য ভেতরে হওয়ায় স্থানীয়রা ছাড়া বাকিদের যাতায়াত তেমন নেই বললেই চলে। এ মুহূর্তে শব্দ বলতে বৈঠার ঐ ছপাছপ শব্দটুকুই প্রকট।
বাকি নদীর বয়ে চলা, গাছ বাওয়া তক্ষক আর ঝি ঝি পোকার কানে তালা লাগানো শব্দগুলো পরিবেশের স্বাভাবিকতা বজায় রাখছে। মাঝে দুবার ব্যাঙও ডেকেছে। তবে শীতের দিন বলেই হয়তো ওদের ডাকাডাকি কম। বর্ষা হলে মাতামাতি চলত এখন। এই শব্দগুলোই পরিবেশটাকে স্বাভাবিক করে রেখেছে নয়ত হিম ধরনের নিস্তব্ধতা মনে ভয় ধরিয়ে দিচ্ছিল।
কম দেখান