পুরুষসঙ্গ থেকে দূরে থাকার তাবিজ আনা হয়েছে। বৃষ্টি হচ্ছে। বর্শার মতো মাটির শরীরে বিধছে জল। বজ্রপাতের সে কী আওয়াজ! আজব এক রোষে ফুঁসছে সমস্ত আকাশ। এই মাঝদুপুরে কালো মেঘের শামিয়ানার নিচে পড়ে অন্ধকার পুরো পৃথিবী। কী কালো! পাতিলের তলা যেন! বাতাসের মেজাজও ভালো নয়। নরম শিকড়ের কয়েকটা গাছ এর মধ্যেই...
আরো পড়ুন
পুরুষসঙ্গ থেকে দূরে থাকার তাবিজ আনা হয়েছে। বৃষ্টি হচ্ছে। বর্শার মতো মাটির শরীরে বিধছে জল। বজ্রপাতের সে কী আওয়াজ! আজব এক রোষে ফুঁসছে সমস্ত আকাশ। এই মাঝদুপুরে কালো মেঘের শামিয়ানার নিচে পড়ে অন্ধকার পুরো পৃথিবী। কী কালো! পাতিলের তলা যেন! বাতাসের মেজাজও ভালো নয়। নরম শিকড়ের কয়েকটা গাছ এর মধ্যেই কুপোকাত। ডাল ভেঙে পড়েছে। টিকে থাকার জন্য পাতাদের কঠিন সংগ্রাম! এত পানি জমে আছে আকাশে বোঝা যায় না। সৈকতের মা ফজিলাত বোঝে না। পাকঘরের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে ছেলেকে নিয়ে চিন্তাটা বাড়ে তাঁর। ছেলেটা বাজারের দিকে গেছে। বন্ধুবান্ধব মিলে নাকি মাছ ধরবে! এই বৃষ্টিতে কই মাছ উঠে আসে পানি থেকে। মাটিতে হাঁটার চেষ্টা করে। হুঁশ হারায়। বৃষ্টিতে কই মাছ ধরায় শান্তি। একটা ছোট্ট খেচইন জাল নিয়েছে ছেলেটা। ছোটো মাছ উঠে আসবে জালে ফজিলাত যেতে না করেছে। শোনেনি ছেলে। একটা বয়সের পর ছেলেমেয়েরা আর মায়ের কথা শোনে না। বাইরে বজ্রপাত হচ্ছে খুব। মনে হচ্ছে, অনেক অনেক ওপর থেকে কেউ একটু পরপর টর্চ জ্বালিয়ে পৃথিবীতে কোনো একটা কিছু খুঁজছে। কারও কি গহনা হারিয়েছে? নাকের নথ? বজ্রপাতের মরণ, খারাপ মরণ। গত সপ্তাহেও দুজন গেল। ধান কাটার সময়ে ঠাডা (বজ্রপাত) পড়ল না জানিয়ে। পুড়ে কয়লা হয়ে গেল দুটো শরীর। ছেলে সৈকত ফজিলাতের কলিজার টুকরা। একেকবার বজ্রপাতের আওয়াজ শোনা যায় আর তার বুক কেঁপে ওঠে। কখন যে থামবে বৃষ্টি!
কম দেখান