১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় এবং নেদারল্যান্ডস ১৯৪০ সালে জার্মান নাৎসি বাহিনীর দখলে আসে। এরপর শুরু হয় ইহুদিদের ওপর নাৎসিদের গণহত্যা। এখানে বাস করতেন আনা ফ্রাঙ্কের বাবা অটো ফ্রাঙ্ক তাঁর পরিবার নিয়ে। জীবন বাঁচাতে পরিবারসহ মোট আটজনের শুরু হয় গুপ্তজীবন। বাবার দেওয়া জন্মদিনের উপহার হিসেবে পাওয়া একটা অটোগ্রাফ বুকে...
আরো পড়ুন
১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় এবং নেদারল্যান্ডস ১৯৪০ সালে জার্মান নাৎসি বাহিনীর দখলে আসে। এরপর শুরু হয় ইহুদিদের ওপর নাৎসিদের গণহত্যা। এখানে বাস করতেন আনা ফ্রাঙ্কের বাবা অটো ফ্রাঙ্ক তাঁর পরিবার নিয়ে। জীবন বাঁচাতে পরিবারসহ মোট আটজনের শুরু হয় গুপ্তজীবন। বাবার দেওয়া জন্মদিনের উপহার হিসেবে পাওয়া একটা অটোগ্রাফ বুকে ১৯৪২ সালের জুন মাসে শুরু হয়েছিল তার ডায়েরি লেখা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা ও জার্মানি বাহিনীর নির্মমতার চিত্র ফুটে ওঠে তার রোজনামচায়। যুদ্ধ এবং মানুষের ওপর তার প্রভাব যে কত নিষ্ঠুর ও হৃদয়বিদারক ছিল তার লেখনিতে তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। জন এফ কেনেডি এক আলোচনায় বলেছিলেন, যুদ্ধের ভয়াবহতা আর ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে যারা মানবতার কথা উচ্চারণ করেছেন তাদের মধ্যে আনা ফ্রাঙ্ক তাঁকে অভিভূত করেছে। সোভিয়েত কাবি ইলিয়া এরেনবুর্গ লিখেছিলেন 'ষাট লাখ মানুষের হয়ে কথা বলেছে একটা কণ্ঠস্বর- সে কণ্ঠস্বর কোনো মহাত্মার নয়, কোনো কবির নয়, সে কণ্ঠস্বর একটা সাধারণ মেয়ের।' আনা ফ্রাঙ্কের এই ডায়েরি পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং লক্ষ লক্ষ পাঠকের হৃদয়কে আলোড়ন করেছে। জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। পৃথিবীর সর্বাধিক পঠিত বইয়ের মধ্যে আনা ফ্রাঙ্কর ডায়েরি অন্যতম।
কম দেখান