বাংলা কথাসাহিত্যের শক্তিমান লেখক হাসান আজিজুল হককে অসংখ্য সাক্ষাৎকার ও আলাপচারিতায় বারবার শুনতে হয়েছে-আপনি কেন উপন্যাস লিখছেন না? পাঁচ দশক ধরে লেখালেখির এ পর্যায়ে এসে তিনি এই আগুনপাখি উপন্যাসে যোগ্য জবাব দিয়েছেন। হাসান আজিজুল হকের এটা প্রথম উপন্যাস।
এই সেই উপন্যাস যা মেধাবী পাঠককে দেশ-কাল-ইতিহাসের মুখোমুখি করে। আমরা পেছনে ফিরে...
আরো পড়ুন
বাংলা কথাসাহিত্যের শক্তিমান লেখক হাসান আজিজুল হককে অসংখ্য সাক্ষাৎকার ও আলাপচারিতায় বারবার শুনতে হয়েছে-আপনি কেন উপন্যাস লিখছেন না? পাঁচ দশক ধরে লেখালেখির এ পর্যায়ে এসে তিনি এই আগুনপাখি উপন্যাসে যোগ্য জবাব দিয়েছেন। হাসান আজিজুল হকের এটা প্রথম উপন্যাস।
এই সেই উপন্যাস যা মেধাবী পাঠককে দেশ-কাল-ইতিহাসের মুখোমুখি করে। আমরা পেছনে ফিরে স্মরণ করতে পারি সাতচল্লিশ-পূর্ব অখণ্ড এই ভুবনডাঙ্গার উত্থান-পতন, নির্মাণ ও ক্ষয়।
রাঢ়বঙ্গের এই ধূলি ধূসরিত জনপদের এক নারীর জবানীতে উঠে এসেছে জীবন মন্থনের অমৃত ও গরল যা সমষ্টির নিজেরই বিষয়। গড়িয়ে আসা বিবিধ রাজনৈতিক তরঙ্গ উপলব্ধি ও জাগরণ, বিশ্বযুদ্ধের অসহ্য তাপ, মানবতা-লাঞ্ছিত মম্বতর, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শেষাবধি দেশভাগ ঝলসে দেয় কোটি কোটি হৃদয়। মাটি-লগ্ন এক নারীর বসতভিটে আগলে দেশত্যাগ অস্বীকার প্রকাশ করে ভ্রান্ত রাজনীতির ভেদনীতি, অসার দেশভাগ ও লড়াকু জীবন।
হাসান আজিজুল হকের লেখা মানে নতুন চিন্তা-চেতনার উদ্বোধন। লেখকের নিজস্ব ভাষা-শৈলী ও লিপিকৌশলের এই আগুনপাখি উপন্যাস বাংলাসাহিত্যে যোগ করেছে ভিন্ন এক নতুন মাত্রা। এদেশের আগামী কথাসাহিত্য এই উপন্যাসের মাধ্যমে নিশ্চিত প্রভাবিত হবে।
কম দেখান