নোবেল বিজয়ী মিশরীয় কথাসাহিত্যিক নাগিব মাহফুজ কায়রো ত্রয়ী উপন্যাস (প্যালেস ওয়াক, ১৯৫৬; প্যালেস অফ ডিজার্য়্যা, ১৯৫৭; এবং সুগার স্ট্রীট, ১৯৫৭)-এর জন্য দেশ-বিদেশে পাঠকের কাছে অত্যন্ত পরিচিত হলেও অ্যাড্রিফ্ট অন দ্য নাইল তাঁর অন্যতম জনপ্রিয় এবং পাঠক নন্দিত উপন্যাস।
এই উপন্যাসে নাগিব মাহফুজ মিশরের মধ্যবিত্ত শ্রেণির মূলহীনতাকে তুলে ধরেছেন। নীল নদের...
আরো পড়ুন
নোবেল বিজয়ী মিশরীয় কথাসাহিত্যিক নাগিব মাহফুজ কায়রো ত্রয়ী উপন্যাস (প্যালেস ওয়াক, ১৯৫৬; প্যালেস অফ ডিজার্য়্যা, ১৯৫৭; এবং সুগার স্ট্রীট, ১৯৫৭)-এর জন্য দেশ-বিদেশে পাঠকের কাছে অত্যন্ত পরিচিত হলেও অ্যাড্রিফ্ট অন দ্য নাইল তাঁর অন্যতম জনপ্রিয় এবং পাঠক নন্দিত উপন্যাস।
এই উপন্যাসে নাগিব মাহফুজ মিশরের মধ্যবিত্ত শ্রেণির মূলহীনতাকে তুলে ধরেছেন। নীল নদের ওপর ভাসমান একটি হাউসবোটে একদল লোকের উম্মাদনা এবং আনন্দ-ফূর্তির বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। সেই হাউসবোটে তারা কিফ বা হাশিশ, মাদক এবং যৌনতার পরিবেশে নিজেদের ভাসিয়ে দিয়ে সুখ-আনন্দ লাভ করার চেষ্টা করতেন। উপন্যাসের প্রধান চরিত্র আনিস জাকি। তিনি একজন হতাশাগ্রস্ত ও মাদকাসক্ত সরকারি কর্মচারী। তার খারাপ অভ্যাসের কারণে চাকরিতে পুরোপুরি থিতু হতে পারেননি। প্রতি সন্ধ্যায় তিনি নীল নদের ভাসমান হাউসবোটে সমাবেশের আয়োজন করতেন। সেখানে তার মতো অন্যান্য বন্ধুরা মিলিত হতেন এবং অসামাজিক কাজে নিজেদের ব্যস্ত রাখতেন। তাদের এই সমাবেশে একজন তরুণী সাংবাদিক যোগ দেন এবং গোপনে তাদের ক্রিয়াকলাপ নথিভুক্ত করতে শুরু করেন। একসময় তাদের সম্প্রীতি ভেঙে যায় এবং শেষপর্যন্ত মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় শেষ হয়।
যাহোক, সামাজিক পরিবর্তন এবং ব্যক্তিগত জবাবদিহিতার জটিলতা নিয়ে যারা পুঁথিগত কল্পকাহিনীতে আগ্রহী, তাদের জন্য অ্যাড্রিফ্ট অন দ্য নাইল উপন্যাসটি অবশ্যই পাঠ হওয়া উচিত।
কম দেখান