কবি হয়ে ওঠার ইচ্ছা আমার কখনো ছিল না। বই ছাপানোর কথা যতবার নিজেকে জিজ্ঞেস করেছি, না বোধক উত্তর পেয়েছি। আমি যা লিখি, তা পড়ে কি উপকার হবে মানুষের? বরং আমার লেখা মানুষকে বিষণ্ন করে দেয়।
তবে কেন বাহুল্য আয়োজন করে শূন্যতার বীজ পুতে দেয়া মানুষের ভেতরে? শেষমেষ ভাবলাম, যখন আমি থাকবো...
আরো পড়ুন
কবি হয়ে ওঠার ইচ্ছা আমার কখনো ছিল না। বই ছাপানোর কথা যতবার নিজেকে জিজ্ঞেস করেছি, না বোধক উত্তর পেয়েছি। আমি যা লিখি, তা পড়ে কি উপকার হবে মানুষের? বরং আমার লেখা মানুষকে বিষণ্ন করে দেয়।
তবে কেন বাহুল্য আয়োজন করে শূন্যতার বীজ পুতে দেয়া মানুষের ভেতরে? শেষমেষ ভাবলাম, যখন আমি থাকবো না, হয়তো বহুযুগ পরে, হয়তো বছর কয়েক পরে, কিংবা আগামী পৌষের এক রাতেই, কেউ দুটো লাইন পড়ে জানবে, পৃথিবীতে কোনো এক সময় এমন একজন মানুষ ছিল, যে তার দুঃখবোধ, গ্লানি, বেদনা, দহন, শূন্যতা, নৈঃশব্দকে এভাবে শব্দে ধারণ করেছিল। তার ব্যথাগুলোকে, তার কান্নাগুলোকে অক্ষর দিয়ে প্রকাশ করতে চেয়েছিল অন্তর্গত অন্তরীক্ষ উন্মুক্ত করে নিজেকে একটু স্বস্তি দেয়ার জন্।
নিজের পরিচয় দিতে পারি এভাবে,
মাটির পুতুল
ভেতরে তার হাওয়াই মিঠাই হৃদয়,
তার গহীনে ফুঁকে দিলে খোদা অপার অনুভূতি।
কম দেখান