ভূতুড়ে দুর্গের ভেতরটায় ঘুটঘুটে অন্ধকার। কিশোর কোথায় গেল কে জানে?
‘বাঁচাও! বাঁচাও!’ চেঁচিয়ে উঠল মুসা। ছাউনির পুরু কাঠের তৈরি দেয়ালে কিল মারতে শুরু করল ও। ভাঙার চেষ্টা করল। পারল না।
ঘন হয়ে যাচ্ছে ধোঁয়া। অসহ্য হয়ে উঠছে গরম। পাগলের মত বেরোনোর জায়গা খুঁজে বেড়াতে লাগল ও। কিন্তু কোথাও কোন ফাঁকফোকর নেই, আর...
আরো পড়ুন
ভূতুড়ে দুর্গের ভেতরটায় ঘুটঘুটে অন্ধকার। কিশোর কোথায় গেল কে জানে?
‘বাঁচাও! বাঁচাও!’ চেঁচিয়ে উঠল মুসা। ছাউনির পুরু কাঠের তৈরি দেয়ালে কিল মারতে শুরু করল ও। ভাঙার চেষ্টা করল। পারল না।
ঘন হয়ে যাচ্ছে ধোঁয়া। অসহ্য হয়ে উঠছে গরম। পাগলের মত বেরোনোর জায়গা খুঁজে বেড়াতে লাগল ও। কিন্তু কোথাও কোন ফাঁকফোকর নেই, আর তক্তাগুলো খুব শক্ত করে পেরেক দিয়ে লাগানো। দরজাটা ছাড়া বেরোনোর আর কোন পথই নেই।
ছোটো যে বেলচাটা পেয়েছে, সেটা দিয়ে দেয়ালে বাড়ি মারতে শুরু করল ও। ভাঙা তো দূরের কথা, তক্তার গায়ে একটা আঁচড়ও কাটতে পারল না। কিন্তু বাড়ি মারা বন্ধ করল না। একইসঙ্গে চেঁচিয়ে চলল। আশা, কেউ ওর চিৎকার শুনে সাহায্য করতে আসতেও পারে।
ঘন হয়ে যাচ্ছে ধোঁয়া। দেয়ালের গায়ে মুসার বাড়িগুলো দুর্বল থেকে দুর্বলতর হচ্ছে। গলার ভেতর ধোঁয়া ঢুকে শুরু হলো প্রচণ্ড কাশি। চোখে এত জ্বালা, মনে হচ্ছে বিষাক্ত হুল ফোটাচ্ছে। মহাবিপদের পড়ল মুসা! সাড়া মিলল না কারও...
কম দেখান