প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে বঙ্গ একটি প্রান্তিক অঞ্চল। জল ও জলাভূমি তথা নদী এই জনপদের জীবনধারা ও সংস্কৃতি নির্মাণ করেছে। বঙ্গীয়রা সরাসরি উত্তরভারতীয় ব্রাহ্মণ্যবাদের অনুসারী নয়, অতএব আর্যাবর্ত বহির্ভূত। ঐতিহাসিক পর্বে বঙ্গীয়রা রাঢ়-গৌড়ের রাজনৈতিক কর্তৃত্বের দৃষ্টিকোণেও প্রান্তিক। উনিশ শতকের কলিকাতা ‘বাঙালি’র যে বয়ান তৈরি করে তাতেও পূর্ববঙ্গীয়রা ধর্মে, ভাষায়, জীবনাচারে তথা...
আরো পড়ুন
প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে বঙ্গ একটি প্রান্তিক অঞ্চল। জল ও জলাভূমি তথা নদী এই জনপদের জীবনধারা ও সংস্কৃতি নির্মাণ করেছে। বঙ্গীয়রা সরাসরি উত্তরভারতীয় ব্রাহ্মণ্যবাদের অনুসারী নয়, অতএব আর্যাবর্ত বহির্ভূত। ঐতিহাসিক পর্বে বঙ্গীয়রা রাঢ়-গৌড়ের রাজনৈতিক কর্তৃত্বের দৃষ্টিকোণেও প্রান্তিক। উনিশ শতকের কলিকাতা ‘বাঙালি’র যে বয়ান তৈরি করে তাতেও পূর্ববঙ্গীয়রা ধর্মে, ভাষায়, জীবনাচারে তথা সংস্কৃতিতে থেকে যায় ‘বাঙাল’ তথা ‘অপর’ হিসেবে।
ভাটির দেশের বাঙাল বইটিতে এই কেন্দ্র-প্রান্তিক জটিল মনস্তত্ত্বের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সিরাজ সালেকীন।
ধর্ম-বর্ণ, রাজনৈতিক অর্থনীতি, ভাষা-সংস্কৃতির রাঢ়-গৌড় তথা কলিকাতার বাঙালিত্বের মানে বঙ্গীয়রা দুর্বল, এই দৃষ্টিকোণের প্রকাশ ঘটে ‘বাঙাল’ শব্দে। লেখক এই গ্রন্থের স্বল্প পরিসরে অজস্র দৃষ্টান্ত দিয়েছেন, দেখিয়েছেন ভাষা-সংস্কৃতি-ধর্ম-শিল্প-সাহিত্যে প্রান্তের প্রতি কেন্দ্রের তুচ্ছতার মনস্তÍত্ত্ব।
কম দেখান