চারপাশে বৈশাখের বাতাস। কালবৈশাখী কখন জানি হানা দিবে দিবে ভাব। আকাশের বুক চিরে আঁকাবাঁকা রেখা দৃশ্যমান হয়। মেদিনীতে পড়ে টুপটাপ ফোঁটা। সৌরভের চোখে মুখে আতঙ্ক। কিছুটা জড়তা নিয়ে প্রশ্ন করে সে, “সুবাসকে ভুলতে পারেননি আপনি, বেলা?” বেলার চোখে তখন ভিন্ন কিছু। সে পালটা প্রশ্ন ছুড়ে, “তোমাকে এমন দেখাচ্ছে কেন?” “মানুষ...
আরো পড়ুন
চারপাশে বৈশাখের বাতাস। কালবৈশাখী কখন জানি হানা দিবে দিবে ভাব। আকাশের বুক চিরে আঁকাবাঁকা রেখা দৃশ্যমান হয়। মেদিনীতে পড়ে টুপটাপ ফোঁটা। সৌরভের চোখে মুখে আতঙ্ক। কিছুটা জড়তা নিয়ে প্রশ্ন করে সে, “সুবাসকে ভুলতে পারেননি আপনি, বেলা?” বেলার চোখে তখন ভিন্ন কিছু। সে পালটা প্রশ্ন ছুড়ে, “তোমাকে এমন দেখাচ্ছে কেন?” “মানুষ ভালোবাসা হারালে মন ভাঙে, বুক কাঁপে, চোখ কাঁদে। আমি তো একসাথে দুই দুটো ভালোবাসা হারালাম, বেলা। আপনার কি মনে হয়, আমার ব্যবহার কেমন হওয়া উচিত?” বেলা এহেন উত্তরে অবাক হয়। অবিশ্বাস্য চোখে তাকিয়ে বলে ওঠে, “আপনার কবুতর…” শেষ করতে দেয় না সৌরভ, বরং কণ্ঠে তীব্র কান্নার বেগ আটকে বলে ওঠে, “নেই। কেউ নেই, বেলা! না আপনি, না আমার প্রথম প্রেম। এক উদাস দুপুরে আমি সর্বহারা হলাম, বেলা। আপনি আমাকে নিঃস্ব করে গেলেন। সেই থেকে আজ ছয়টা বছর, বেলা। রাস্তায় রাস্তায় আমি ঠোকর খাচ্ছি, হতাশ হচ্ছি, মানুষের কাছে হয়েছি পরিপাটি এক যুবক, ঠিক যেমনটা আপনি আমাকে দেখতে চেয়েছিলেন। আপনার সকল ইচ্ছেকে আমি প্রাধান্য দিয়েছি বেলা, শুধু আপনি আমি নামক ছেলেটাকে গ্রাহ্য করলেন না।”
কম দেখান