সুপ্রাচীনকাল থেকেই যুগে যুগে ভারতবর্ষে নানা দেশ ও জাতির পর্যটক, ভ্রমণকারী ও রাষ্ট্রদূতগণের আগমন হয়েছে। প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের কোনো ভেদ ছিল না এ ব্যাপারে। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য দুই দেশের মানুষকেই ভারতবর্ষ সমানভাবে করেছে আকর্ষণ। বিভিন্ন বিদেশি ভ্রমণকারীদের এদেশে আগমন ও অবস্থানের কারণ প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র। উদ্দেশ্যও ছিল সম্পূর্ণ পৃথক ।...
আরো পড়ুন
সুপ্রাচীনকাল থেকেই যুগে যুগে ভারতবর্ষে নানা দেশ ও জাতির পর্যটক, ভ্রমণকারী ও রাষ্ট্রদূতগণের আগমন হয়েছে। প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের কোনো ভেদ ছিল না এ ব্যাপারে। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য দুই দেশের মানুষকেই ভারতবর্ষ সমানভাবে করেছে আকর্ষণ। বিভিন্ন বিদেশি ভ্রমণকারীদের এদেশে আগমন ও অবস্থানের কারণ প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র। উদ্দেশ্যও ছিল সম্পূর্ণ পৃথক । তাঁদের কেউ এসেছেন রাষ্ট্রদূত হয়ে, কেউ এসেছেন ধর্ম প্রেরণায়, কেউ বা নিছক ভ্রমণের নেশায়। আবার কেউ হয়তো এসেছিলেন ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে। তাঁদের আগমনের উদ্দেশ্য ও আদর্শে ভিন্নতা থাকলেও একটি বিষয়ে সকলের মধ্যেই দেখা দিয়েছে অদ্ভুত মিল। চিন্তা-ভাবনায় তাঁরা ছিলেন প্রায় সমগোত্রীয়। অর্থাৎ তাঁদের প্রায় সকলেই ভারতবর্ষকে ঘুরে দেখেছেন অত্যুগ্র কৌতূহল ও আগ্রহ নিয়ে। খুঁটিয়ে দেখেছেন সবকিছু। পর্যবেক্ষণ করেছেন এখানকার রাষ্ট্র, সমাজ, জনগণের জীবনধারা ও ভৌগোলিক বিশিষ্টতাকে। অবশেষে তাঁরা নিজ নিজ মাতৃভাষায় তার পূর্ণ বিবরণ করেছেন লিপিবদ্ধ। কিন্তু তাঁদের ভ্রমণবৃত্তান্তসমূহ কেবল সেই যুগ ও কালের এক একটি কৌতূহলকর সাধারণ বর্ণনামাত্র নয়। তা ভারত ইতিহাসের অমূল্য উপাদানও বটে। তেমনি একজন পর্যটক তাভেরনিয়ে যিনি ভারতবর্ষ আসেন ১৬৪১ খ্রিষ্টাব্দে। তার চোখে দেখা ভারত নিয়ে তাভের্নিয়ারের চোখে মুগল ভারত প্রবন্ধ।
কম দেখান