তপন বাগচী রচিত জেমকন তরুণ কথাসাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত শেষ দৃশ্যের আগে উপন্যাসটির পুরো আখ্যানভাগ জুড়ে রয়েছে যাত্রাশিল্পের একাল ও সেকাল। ফেলে আসা অতীত আর বিদ্যমান বর্তমানের সেতুবন্ধ হিসেবে বাংলাদেশের যাত্রাশিল্পের এই কালপরিক্রমায় ফুটে উঠেছে অনেক জীবন্ত অধ্যায়। নাটকের মধ্যে সৃজিত অন্য এক নাটকের ফর্মে নির্মিত এই উপন্যাসে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের কয়েক দশক...
আরো পড়ুন
তপন বাগচী রচিত জেমকন তরুণ কথাসাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত শেষ দৃশ্যের আগে উপন্যাসটির পুরো আখ্যানভাগ জুড়ে রয়েছে যাত্রাশিল্পের একাল ও সেকাল। ফেলে আসা অতীত আর বিদ্যমান বর্তমানের সেতুবন্ধ হিসেবে বাংলাদেশের যাত্রাশিল্পের এই কালপরিক্রমায় ফুটে উঠেছে অনেক জীবন্ত অধ্যায়। নাটকের মধ্যে সৃজিত অন্য এক নাটকের ফর্মে নির্মিত এই উপন্যাসে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের কয়েক দশক আগের বৃহত্তর ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের যাত্রাগানের ইতিহাস, যাত্রা পালাকার এবং নট-নটীদের ব্যক্তিজীবনের একান্ত অনুভবের নানা কথা বিধৃত হয়েছে। পাশাপাশি মননশীল কালের প্রবাহে আজকের বাংলাদেশে কীভাবে টিকে আছে যাত্রাশিল্প, যুগসন্ধিক্ষণে যাত্রাপালা দেখে আজও কীভাবে মুখরিত হয় মানুষ- এসব জিজ্ঞাসার জানালাগুলো খুলে দিয়েছেন লেখক এই উপন্যাসটির পাতায় পাতায়। যাত্রাশিল্পের বিকাশ ও বিন্যাসের পেছনে সেকালের আর্থ-সামাজিক বিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও ধরা পড়েছে সাধারণের কথ্যভাষায় লেখা এই উপন্যাসটিতে। এ যেন এক প্রামাণ্য দলিল।
কম দেখান