হাসান আজিজুল হক তাঁর অর্ধশতাব্দীরও দীর্ঘ সাহিত্যজীবনে বাংলা সাহিত্যকে উপহার দিয়েছেন বিচিত্র ও বিস্ময়কর অনেক ছোটগল্প আর জীবনদর্শন ও চিন্তারসে জারিত বহু সুস্বাদু গদ্য। কিন্তু বিস্ময়কর ব্যাপার, আগুনপাখির আগে পর্যন্ত তাঁর কাছ থেকে আমরা তেমন কোনো উপন্যাস পাইনি। যদিও দুটি ছোট উপন্যাস লিখেছিলেন, যাকে তিনি উপন্যাস না বলে উপন্যাসিকা বলেন।...
আরো পড়ুন
হাসান আজিজুল হক তাঁর অর্ধশতাব্দীরও দীর্ঘ সাহিত্যজীবনে বাংলা সাহিত্যকে উপহার দিয়েছেন বিচিত্র ও বিস্ময়কর অনেক ছোটগল্প আর জীবনদর্শন ও চিন্তারসে জারিত বহু সুস্বাদু গদ্য। কিন্তু বিস্ময়কর ব্যাপার, আগুনপাখির আগে পর্যন্ত তাঁর কাছ থেকে আমরা তেমন কোনো উপন্যাস পাইনি। যদিও দুটি ছোট উপন্যাস লিখেছিলেন, যাকে তিনি উপন্যাস না বলে উপন্যাসিকা বলেন। অথচ হাসান তাঁর লেখকজীবনের প্রায়-সূচনাতেই বয়স অনুপাতে বেশ ভালো উপন্যাস লিখেছিলেন এবং সেটি তৎকালীন বিখ্যাত লেখকদের বিচারে বেশ মূল্যও পেয়েছিল। শামুক নামের সেই রচনাটি আজও পর্যন্ত অপ্রকাশিত আর তারপর থেকে তিনি খুব ন্যায্যভাবেই ‘ছোটগল্পের রাজকুমার’ হিসেবে সর্বজনশ্রদ্ধেয়। কিন্তু সেই হাসান আজিজুল হক প্রায় এক দশক ধরে আর গল্প লিখছেন না, বরং লিখছেন আত্মজীবনী, চিন্তাশীল গদ্য এবং বিশেষভাবে উপন্যাস। তাঁর একটি গল্পের ভ্রƒণ থেকে বিকশিত আগুনপাখি উপন্যাসটি নানাভাবে পুরস্কৃত-প্রশংসিত-আলোচিত হবার পরও তিনি অতি-সংযমী। তাই আগুনপাখির বহুদিন পর তিনি লিখলেন আর এক আশ্চর্য-আখ্যান সাবিত্রী উপাখ্যান। একজন সাধারণ কিশোরীর ধর্ষিত হওয়া থেকে তার নারী হয়ে ওঠা এবং জীবনসংগ্রাম এমন ভাষায় লিখেছেন তিনি, এভাবে হয়তো কেবল হাসান আজিজুল হকই লিখতে পারেন।
কম দেখান