আমার বন্ধু শাহেদ
শেষ বিকেলের আলো দ্রুত মরে আসছে। পুরোটা দিন রোদ ঢেলে ঢেলে সূর্য এখন ক্লান্ত। পশ্চিম আকাশ থেকে যাবতীয় রং মুছে যাওয়ার পালা। কিছুক্ষণ পরেই ঘরবাড়ি গুলোতে আলো জ্বলে উঠবে। এই বিকেলগুলো আমার কাছে খুবই প্রিয়। টিউশন বা অন্যকোনোও জরুরি কাজ না থাকলে আমি এখন প্রায়ই আমাদের বাড়ির বিশাল...
আরো পড়ুন
আমার বন্ধু শাহেদ
শেষ বিকেলের আলো দ্রুত মরে আসছে। পুরোটা দিন রোদ ঢেলে ঢেলে সূর্য এখন ক্লান্ত। পশ্চিম আকাশ থেকে যাবতীয় রং মুছে যাওয়ার পালা। কিছুক্ষণ পরেই ঘরবাড়ি গুলোতে আলো জ্বলে উঠবে। এই বিকেলগুলো আমার কাছে খুবই প্রিয়। টিউশন বা অন্যকোনোও জরুরি কাজ না থাকলে আমি এখন প্রায়ই আমাদের বাড়ির বিশাল ছাদটায় চলে আসি। ছাদ থেকে বিদায় হয়ে আসার সময় নীচের গলির রাস্তার দিকে উঁকি ঝুঁকি মারি যদি শাহেদ আসে। যদিও জানি শাহেদ আসার সময় এটা নয়, ও সাধারণত আসে ধু-ধু দুপুরে যখন চৈত্রের দিশাহন হাওয়া হাহা শব্দে ধুলো ওড়াতে ওড়াতে ছুটে যায়।
শাহেদের সঙ্গে প্রথম দেখা হওয়ার স্মৃতিটা ভীষণ ভাবে জীবন্ত।
তার আগের দিনই আমার কেরিয়ার নিয়ে আব্বু আম্মুর মধ্যে একদফা জোর কথা কাটাকাটি হয়ে গিয়েছে। আসলে সেদিন স্কুলে ক্লাসটিচার আমাদের এম ইন লাইফ এর কথা জানতে চেয়েছিলেন। তখন আমি নিজে দাঁড়িয়ে বলেছিলাম, সফট ইঞ্জিনিয়ার হব। রাতে ডাইনিং টেবিলে বসে খেতে খেতে সেকথা জানাতেই আব্বু নাক সিটকে বললেন, ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার ওগুলো ব্যাকডেটেড হয়ে গিয়েছে। এখন বিজনেস ম্যানেজমেন্টের যুগ।
আম্মু আপত্তি জানিয়ে বলেছিলেন, না-না তা হতেই পারে না। তার চেয়ে ছেলে আমার বিরাট বড় সয়েন্টিস্ট হবে।
আব্বু পাত্তাই দিলেন না, বললেন সারা জীবন ল্যাবরেটরিতে বসে বসে মাইক্রোস্কোপে চোখ লাগিয়ে দিন কাটাবে। তা আমি মেনে নিতে পারবো না।
আম্মু হার মানতে রাজি নন। বললেন, আমার ফাইনাল ডিসিশন ইঞ্জিনিয়ার।
কম দেখান