ঔপনিবেশিক ভারতবর্ষে স্বাধীনতার জন্য যে আন্দোলন হয়েছে তাতে নেতৃত্ব দানের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিলেন যাঁরা তাঁরা হলেন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, জওহরলাল নেহরু এবং সুভাষচন্দ্র বসু। এঁরা সবাই ছিলেন জাতীয়তাবাদী। কিন্তু সুভাষ ছিলেন স্বতন্ত্র। সশস্ত্র সংগ্রাম ছাড়া ব্রিটিশ শাসনের যে অবসান ঘটানো যাবে না এই উপলব্ধিতে তিনি দ্রুতই...
আরো পড়ুন
ঔপনিবেশিক ভারতবর্ষে স্বাধীনতার জন্য যে আন্দোলন হয়েছে তাতে নেতৃত্ব দানের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিলেন যাঁরা তাঁরা হলেন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, জওহরলাল নেহরু এবং সুভাষচন্দ্র বসু। এঁরা সবাই ছিলেন জাতীয়তাবাদী। কিন্তু সুভাষ ছিলেন স্বতন্ত্র। সশস্ত্র সংগ্রাম ছাড়া ব্রিটিশ শাসনের যে অবসান ঘটানো যাবে না এই উপলব্ধিতে তিনি দ্রুতই পৌঁছে গিয়েছিলেন। এবং প্রত্যক্ষ সংগ্রামের ভেতর দিয়ে পরিণত হয়েছিলেন একাধারে বীর ও নেতায়।
ব্রিটিশ শাসকদের জন্য অন্য নেতাদের তুলনায় সুভাষ বসুই ছিলেন সর্বাধিক বিপজ্জনক। জাতীয়তাবাদী হওয়ার কারণেই ভারতবর্ষ যে এক জাতির নয়, বহু জাতির দেশ, এই বাস্তবতাটিকে তিনি মেনে নেন নি। সুভাষ বসু খাঁটি বাঙালী ছিলেন, কিন্তু বাংলার রাজনীতিকে সর্বভারতীয় রাজনীতি থেকে স্বতন্ত্র করে রাখতে চান নি, চিত্তরঞ্জন দাশ যেমনটা চেয়েছিলেন। সুভাষ বসু সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি প্রবর্তনের কথাও বলেছেন; কিন্তু জাতীয়তাবাদী ধারাকে পরিত্যাগ করতে সম্মত হন নি। সে জন্যই তাঁকে রাষ্ট্রবিপ্লবীই বলতে হয়, সমাজবিপ্লবী না বলে। সুভাষচন্দ্রের রাষ্ট্রবিপ্লবী তৎপরতার ধরন ও তাৎপর্য অল্পকথায় হলেও তথ্য-উপাত্ত-প্রমাণসহ বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে এই রচনাটিতে।
সুভাষ বসুকে জানবার ও বুঝবার ক্ষেত্রে বইটি যে সহায়ক হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
কম দেখান