বীরত্বগাথার প্রতি আমার আগ্রহ শৈশব থেকে। বিশেষ করে মায়ের মুখে নানা বীরদের কাহিনি শুনতে শুনতে এই আগ্রহের জন্ম। ছোটবেলায় রাতে খাওয়া দাওয়ার পর কাঠের চৌকিতে মা’র কোলের কাছে শুয়ে রোজ রাতেই গল্প শোনানোর বায়না ধরতাম। এমনই কোনো একদিনে মহাবীর খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা)-এর গল্প শুনিয়েছিলেন মা। শুনিয়েছিলেন আরও বিভিন্ন বীরদের...
আরো পড়ুন
বীরত্বগাথার প্রতি আমার আগ্রহ শৈশব থেকে। বিশেষ করে মায়ের মুখে নানা বীরদের কাহিনি শুনতে শুনতে এই আগ্রহের জন্ম। ছোটবেলায় রাতে খাওয়া দাওয়ার পর কাঠের চৌকিতে মা’র কোলের কাছে শুয়ে রোজ রাতেই গল্প শোনানোর বায়না ধরতাম। এমনই কোনো একদিনে মহাবীর খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা)-এর গল্প শুনিয়েছিলেন মা। শুনিয়েছিলেন আরও বিভিন্ন বীরদের গল্প। সেইসব গল্প তখন আমাকে এতটাই মুগ্ধ করত যে, এসব গল্পের চরিত্রদের প্রতি এক ধরনের গভীর টান আমি টের পেতাম সেই ছোট্টকালেই। লেখালেখি শুরু করার পর ভাবতামÑ খালিদ বা তার মতো কাউকে নিয়ে কিছু যদি লিখতে পারতাম!
ভাবতাম বটে, কিš‘ সাহস করে উঠতে পারতাম না। কারণ বীরত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক এসব চরিত্র নিয়ে লিখতে যে পরিমাণ রসদ দরকার, তা যোগাড় যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনই বহুশ্রæত কোনো চরিত্র নিয়ে নতুন লেখা দাঁড় করানোও বিরাট কঠিন কাজ। কোনোভাবেই সাহসে কুলাত না। অবশেষে সেই সাহস এলো, টানা দশ বই লেখার পর। সেই সাহসের বুকে ভর করেই দীর্ঘ প্র¯‘তি শেষে দুবছর আগে হাত দিলাম শৈশবের মুগ্ধতার বীর খালিদের জীবনীভিত্তিক বড় লেখায়। দীর্ঘ পরিশ্রমে অবশেষে দাঁড়াল কিছু একটা। কিছু একটা মানে খালিদের বিশাল বীরত্বপূর্ণ জীবনের খুবই সামান্য একটা অংশ। আমি যাকে বলছি ‘মহাবীর খালিদের বীরত্বগাথার মহাআখ্যানের প্রথম পর্ব ’। পরবর্তীতে আরও একটি বা দুটি পর্বে পূর্ণ অবয়ব পাবে এ মহাআখ্যান।
হিড়িম্বা, সত্যবতী, সুভদ্রা, অম্বা, গান্ধারীÑ মহাভারতের পাঁচ নারীর গল্প নিয়ে এ বই। তাদের পাঁচজনের আখ্যান লেখা হয়েছে আলাদা করে। মহাভারতের বিস্মৃত ক্যানভাসে এই নারীরা এসেছিলেন কাহিনি বা ঘটনার প্রেক্ষিতে। ‘পঞ্চকন্যা’য় তাদের প্রত্যেককে আলাদা করে দেখানোর চেষ্টা করা হয়ছে। পাঁচজন আলাদা নারী। তাদের ভিন্ন স্বপ্ন, জীবন যাপন, প্রেম ও স্বপ্নভঙ্গের আখ্যান উঠে এসেছে এখানে।
মহাভারতের মূল গল্পটা সবার জানা। কিন্তু আড়ালে পড়ে থাকেন এই নারীরা। তাই তাদেরকে একটু কাছ থেকে দেখা প্রয়োজন। কেমন ছিলেন রাক্ষসী হিড়িম্বা? সত্যবতী কি সত্যিই কুটিলা ছিলেন? কিংবা আসলেই কি পরজন্মে অর্ধ-নারী ছিলেন শিখÐি? কৃষ্ণের বোন, অর্জুনের স্ত্রী সুভদ্রা কেমন করে টেনে নিয়ে গেলেন কুরুবংশকে। গান্ধারী কতটা পাষাণভার বয়েছিলেন বুকে? পঞ্চকন্যা এসব প্রশ্নেরই জবাব খোঁজে।
নারী বরাবরই শক্তির আধার। আর একুশ শতক নারীর এগিয়ে যাওয়ারই সময়। কিন্তু সেই আধুনিক, অগ্রসর যুগেও পুরাণের নারীকে দেখা হয় অবাস্তব চরিত্র হিসেবে। তাদের বাস্তবতা প্রকাশ এবং নারীর প্রত্যয়, শক্তি ও মনের দ্বন্দ্ব নিয়েই এই বই।
কম দেখান