প্রকৃতির নিজস্ব আবর্তনচক্র ও আন্তঃপ্রক্রিয়ার বহুমাত্রিকতা নিয়ে লেখা নিসর্গ আখ্যান গ্রন্থটি। একাধিক শিরোনামে বিন্যস্ত ছোট-বড় প্রায় ৪৫টি প্রবন্ধ এখানে স্থান পেয়েছে। এসব লেখায় প্রকৃতির প্রতি আমাদের মনোভাবের কথা সবিস্তারে উঠে এসেছে। দেশজুড়ে প্রকৃতি ও বন ধ্বংসের যে মহোৎসব শুরু হয়েছে তারই কিছু খণ্ডচিত্র এখানে পাওয়া যাবে। ...
আরো পড়ুন
প্রকৃতির নিজস্ব আবর্তনচক্র ও আন্তঃপ্রক্রিয়ার বহুমাত্রিকতা নিয়ে লেখা নিসর্গ আখ্যান গ্রন্থটি। একাধিক শিরোনামে বিন্যস্ত ছোট-বড় প্রায় ৪৫টি প্রবন্ধ এখানে স্থান পেয়েছে। এসব লেখায় প্রকৃতির প্রতি আমাদের মনোভাবের কথা সবিস্তারে উঠে এসেছে। দেশজুড়ে প্রকৃতি ও বন ধ্বংসের যে মহোৎসব শুরু হয়েছে তারই কিছু খণ্ডচিত্র এখানে পাওয়া যাবে। দেশের বিশিষ্ট লেখক, রাষ্ট্রনায়ক এবং ভিনদেশি বৃক্ষবিদদের বৃক্ষ-মনস্ক ভাবনা এ বইয়ের বিশেষ দিক। আছে বিলুপ্ত কয়েকটি উদ্যানের বর্ণনা। দেশে ইংলিশ রীতিতে তৈরি বাগানের প্রসঙ্গ। ছয় ঋতুর শহর এবং পুষ্প উৎসববিষয়ক স্বপ্নের কথা। তাছাড়া রাজধানী ঢাকাকে একটি সমৃদ্ধ উদ্যান নগরী হিসেবে গড়ে তোলার সংক্ষিপ্ত প্রস্তাবনাও এখানে পাওয়া যাবে। অনুসন্ধানী লেখক মোকারম হোসেন এ গ্রন্থে সন্নিবেশিত করেছেন ঢাকার শতবর্ষী বা শতোর্ধ্ববর্ষী কিছু বৃক্ষের খবরাখবর। বিশ্বব্যাপী বৃক্ষ বাদ দিয়ে শুধু প্রাণিজগৎ নিয়ে যে মাতামাতি শুরু হয়েছে তা খণ্ডিত মনোভাব হিসেবেই দেখছেন এই নিসর্গী। বৃক্ষ ছাড়া প্রাণী যেমন বাঁচতে পারে না তেমনি গাছপালার বংশপরম্পরার ক্ষেত্রেও প্রাণী ও পতঙ্গদের দরকার। এ বাস্তবতা এড়িয়ে যাবার কোনো সুযোগ নেই। কাজেই প্রকৃতি সংরক্ষণে আমাদের একপেশে মনোভাব পরিহার করে সমগ্র প্রাণবৈচিত্র্য নিয়েই ভাবা উচিত। এমন উদার ভাবনাই কেবল আমাদের জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে পারে। নিসর্গ আখ্যান গ্রন্থে মূলত এসব কথাই বারবার উঠে এসেছে।
কম দেখান