"বিয়ে ভেঙ্গে যাবার পর হুমায়রাকে দেখা গেলো নির্বিকার। নির্ভার চোখে জানালার ধারে বসে আসে সে। মা সম্পর্কিত অকথ্য বানীগুলোও কানে আসছে না তার। এ যেনো রোজকার ই কোনো ঘটনা। আতিয়া খাতুন নাতিনের কাছে এসে বসলেন। ধরা গলায় বললেন,"বুবু খাইতি না?
"ক্ষিদে মরে গেছে দাদী"
খুব শান্ত স্বরে বললো। নাতনীর মনোস্থিতি বুঝতে পারলেন...
আরো পড়ুন
"বিয়ে ভেঙ্গে যাবার পর হুমায়রাকে দেখা গেলো নির্বিকার। নির্ভার চোখে জানালার ধারে বসে আসে সে। মা সম্পর্কিত অকথ্য বানীগুলোও কানে আসছে না তার। এ যেনো রোজকার ই কোনো ঘটনা। আতিয়া খাতুন নাতিনের কাছে এসে বসলেন। ধরা গলায় বললেন,"বুবু খাইতি না?
"ক্ষিদে মরে গেছে দাদী"
খুব শান্ত স্বরে বললো। নাতনীর মনোস্থিতি বুঝতে পারলেন না আতিয়া খাতুন। মুখ চেপে অশ্রু ছেড়ে দিলেন। আজ নাতিনের জীবনের সুখময় দিন ছিলো। কিন্তু সে অলক্ষী, নষ্ট মহিলা সব ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। মনে মনে শাপশাপান্ত করলেন নিজ পুত্রবধূকে। দরজার বাহিরে দাঁড়িয়ে রইলো রাশাদ। বোনের খোঁজ নেওয়ার সুযোগটি পায় নি সে। অবশ্য সে জানে তার বোন এতোটা দূর্বল নয়।
সে নিশীভাতির ন্যায়। প্রদীপ যেমন ঘোর তমসাকে নিজের ক্ষুদ্র আলো দিয়ে গিলে খায়, ঠিক তেমনি হুমায়রাও এই দুঃখের নিকষ আঁধারেও প্রজ্জ্বলিত হবে।"
কম দেখান