বেশ কিছুদিন ধরে অপরিচিত কয়েকটি নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোন রিসিভকরলে ওপাশ থেকে শুনতে পাই অস্পষ্ট কথা। ভাবছি হয়তো নেটওয়ার্কের সমস্যার কারণে ঠিকঠাক শোনা যাচ্ছে না। তাই কেটে আবার ব্যাক করার চেষ্টা করি, কিন্তু নম্বর বন্ধ দেখায়! লাঞ্চের বিরতির পর টেবিলে বসে আছি, তখনই পূর্বের মতো আরেকটি নম্বর থেকে ফোন...
আরো পড়ুন
বেশ কিছুদিন ধরে অপরিচিত কয়েকটি নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোন রিসিভকরলে ওপাশ থেকে শুনতে পাই অস্পষ্ট কথা। ভাবছি হয়তো নেটওয়ার্কের সমস্যার কারণে ঠিকঠাক শোনা যাচ্ছে না। তাই কেটে আবার ব্যাক করার চেষ্টা করি, কিন্তু নম্বর বন্ধ দেখায়! লাঞ্চের বিরতির পর টেবিলে বসে আছি, তখনই পূর্বের মতো আরেকটি নম্বর থেকে ফোন বেজে ওঠে। রিসিভের ৩-৫ সেকেন্ড পর একজন মহিলা ইংরেজিতে প্রশ্ন করে, আপনি কি ইংরেজিতে কথা বলতে পারবেন? আমিও হ্যাঁ-সূচক উত্তর দেওয়ায় অপর পাশ থেকে কথা বলা শুরু করল। কথার ধরন ছিল মোটামুটি এমন- আপনার জন্য একটা চাকরির অফার আছে। ঘরে বসে করতে পারবেন। মাসে ২০০০ ডলার দেওয়া হবে। কী ধরনের চাকরি? আমাদের ইউটিউব চ্যানেলের জন্য কনটেন্ট তৈরি করবেন। মহিলা নেটিভল্যাঙ্গুয়েজে দ্রুত কথা বলছিল, যার কারণে ঠিকঠাক কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। শেষের দিকে পাশে বসে থাকা আমার এক কলিগ কনভারসেশন দেখে দ্রুত ফোন কেটে দিতে বলে। আমিও কেটে দিই। পরে সে জানায় এটা একটা হ্যাকিং কল। তারা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এটা জিএসএম হ্যাকিং কল। এভাবে কলারের সঙ্গে কথা বলতে বলতে মোবাইলের সেলুলার ডাটা কানেক্ট করে নেয়। পরবর্তীতে ওই নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত মোবাইলের তথ্য হ্যাক করতে থাকে। তার জন্য হ্যাকাররা একথা-সেকথা বলে সময়ক্ষেপণ করার চেষ্টা করে এবং তারা যেসব নম্বর ব্যবহার করে থাকে সেগুলো সব বন্ধ হওয়া নম্বর, যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে যুক্ত থাকে। এত বড়ো লেখার উদ্দেশ্য একটাই, আপনাদের সতর্ক করা। আমরা অনেকেই এসব কল বুঝতে পেরেও অনেকক্ষণ কথা বলি মজা করার জন্য। আবার কেউ কেউ ভাবে- আমার মোবাইলে কী এমন তথ্য আছে যে হ্যাক করবে! কিন্তু একটা জিনিস মাথায় রাখবেন, যেকোনো ব্যক্তিগত তথ্য অন্যের কাছে আপনাকে ত্যক্ত করার জন্য যথেষ্ট। এরকম প্রাত্যহিক জীবনের অনেকগুলো সাইবার ঘটনা নিয়ে সাইবার অপরাধ বইটি রচিত। অণুগল্পের আঙ্গিকে লেখা বইটি সময় নিয়ে পড়লে সবার সাইবার লাইফ নিরাপদ হবে বলে আশা করা যায়।
কম দেখান