নারী যতদিন নিজেকে বুঝতে না পারবে ততদিন তাকে পুরুষের অধীনেই থাকতে হবে। নারীকে আত্মপ্রত্যয়ী করে গড়ে তুলতে হলে জন্ম থেকে তাকে বুঝিয়ে দিতে হবে যে, সে একটি একক সত্তা। তার নিজস্বতা আছে, আছে স্বকীয়তা, আছে তার পূর্ণ স্বাধীনতা। ইচ্ছে করলেই একটা নারী তার ইচ্ছেমতো জীবনধারণ করতে পারে, যদি তার মধ্যে...
আরো পড়ুন
নারী যতদিন নিজেকে বুঝতে না পারবে ততদিন তাকে পুরুষের অধীনেই থাকতে হবে। নারীকে আত্মপ্রত্যয়ী করে গড়ে তুলতে হলে জন্ম থেকে তাকে বুঝিয়ে দিতে হবে যে, সে একটি একক সত্তা। তার নিজস্বতা আছে, আছে স্বকীয়তা, আছে তার পূর্ণ স্বাধীনতা। ইচ্ছে করলেই একটা নারী তার ইচ্ছেমতো জীবনধারণ করতে পারে, যদি তার মধ্যে শিক্ষা, মেধা ও বিবেকবুদ্ধি সম্পন্ন সচেতনতা থাকে; তারজন্য পরিবার থেকে নারীকে সেইভাবে গড়ে তুলতে হবে। নারী কোনো হ্যালাফেলা দুর্বল কিছু নয়। নারীও পারে তার আত্মসম্মান নিয়ে মাথা উঁচু করে চলতে। যদি সম্মানবোধটা টনটনে থাকে, তখন পুরুষও শালীনতার মধ্যে থেকে কথা বলতে বাধ্য হবে এবং সম্মান করবে। অতএব, নারীকে বুঝিয়ে দিতে হবে 'নারী আসলে কী এবং কেমন?' নারী যদি নিজেকে মানুষ হিসেবে আবিস্কার না করতে পারে, তাহলে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের অবসান কখনই হবে না। এই বিষয়ে নারীর নিজের উপরে তার দায়িত্বের ভার বেশী। পুরুষতান্ত্রিকতায় কুঠারাঘাত করতে হলে নারীকেই সবচেয়ে বেশি অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। পৃথিবীর সকল নারী আত্মসম্মানবোধে বলীয়ান হয়ে নিজ সত্তায় বাঁচুক, সেই প্রত্যাশা করি সর্বতঃ।
কম দেখান