জীবনে মহৎ হয়ে লাভ কী? কেননা আমরা মানুষ। রাজা হবার দাবি একমাত্র মানুষেরই আছে। দুঃখ, পাপ ও অজ্ঞানের আঁধারকে দুই হাত দিয়ে ঠেলে ফেলে। আমাদিগকে উধ্ব হতে ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। কী বিরাট আলোক, কী অফুরন্ত আনন্দের রাজ্য মানুষের সামনে, মানুষ তার গৌরব ভুলে কী করে আঁধার ও মৃত্যুর পথে হাঁটবে?...
আরো পড়ুন
জীবনে মহৎ হয়ে লাভ কী? কেননা আমরা মানুষ। রাজা হবার দাবি একমাত্র মানুষেরই আছে। দুঃখ, পাপ ও অজ্ঞানের আঁধারকে দুই হাত দিয়ে ঠেলে ফেলে। আমাদিগকে উধ্ব হতে ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। কী বিরাট আলোক, কী অফুরন্ত আনন্দের রাজ্য মানুষের সামনে, মানুষ তার গৌরব ভুলে কী করে আঁধার ও মৃত্যুর পথে হাঁটবে? মানুষকে। মহৎ করতে হবে কারণ মহৎ হবার জন্যই সে এ জগতে এসেছিল। দুঃখ-ব্যথা, মায়া প্রলোভনের ভিতর দিয়ে, সে যে কত বড়, তাই সে প্রমাণ করবে। মানুষ কত বড়, সে কী বিরাট, তার পক্ষে দুর্বলতার পরিচয় দেওয়া কত বড় বোকামি, তার কতখানি অপমান হয়। সারা প্রকৃতি মানুষকে কত বড় হবার জন্যে ডাকছে, উদার আকাশ, উষা। আলো বাঁশরীর রাগিণী, মানবকণ্ঠের সঙ্গীতধ্বনি, আর্তের অশ্রু মানুষকে কেবলই মহত্ত্বের পথে ডাকছে। মিথ্যা এ জীবন, এ সুখ, এ বিষয়-বৈভব। জীবনে যে সকার্য করা যায়, তাই মানুষকে তৃপ্তি দিতে সক্ষম। দালান-কোঠা, হাতি-ঘোড়া, শত শত বিলাস উপহার কিছুরই মাঝে মানুষের তৃপ্তি নাই।
অনেক সময় দরিদ্রের মাঝে মহত্ত্বের যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দেখা যায়, শিক্ষিত ও বড়োলোকদের মাঝেও তা পাওয়া যায় না। দরিদ্র সাধারণ মানুষের মহত্ত্ব, সহৃদয়তা ও ছোট ছোট দানের নিকট জগৎ বহু পরিমাণ ঋণী। কয়েকটি হাসপাতাল বা অতিথিশালা মানুষের দুঃখের বহু পরিমাণ মীমাংসা করলেও পল্লীর সহৃদয় দীন-দুঃখী মানুষ নীরবে দুঃখ মোচন করে। পরের অর্থ অপহরণ করে লোকে বড় মানুষ হয়েছে এরূপ দৃষ্টান্ত অনেক আছে। কিন্তু পরকে মানুষ কেমন করে একেবারে নির্লোভ হয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে দিয়েছে, তার গোটা দুই দৃষ্টান্ত বিরল। ডা. মোঃ লুৎফর রহমান তাঁর বইয়ে ঠিক এই ব্যাপারগুলোই গুছিয়ে বলেছেন। মানুষ যেন সত্যিকারের মানুষ হয়ে উঠে এই তাঁর কামনা।
কম দেখান