প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর রচিত এই পুস্তকটিতে (Why Men Fight) বার্ট্রান্ড রাসেল সামাজিক পুনর্নির্মাণের নীতিমালা নিয়ে কিছু প্রভাষণ উপস্থাপন করেছেন এবং তার নাম দিয়েছেন Principles of Social Reconstruction; কিন্তু আমেরিকাতে প্রকাশের সময় এটির প্রথমোক্ত নামটি নির্বাচন করা হয়েছিল। এর দুটো নামই পাঠকের কাছে যথাযথ মনে হতে পারে, কারণ এতে রাসেল যেমন...
আরো পড়ুন
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর রচিত এই পুস্তকটিতে (Why Men Fight) বার্ট্রান্ড রাসেল সামাজিক পুনর্নির্মাণের নীতিমালা নিয়ে কিছু প্রভাষণ উপস্থাপন করেছেন এবং তার নাম দিয়েছেন Principles of Social Reconstruction; কিন্তু আমেরিকাতে প্রকাশের সময় এটির প্রথমোক্ত নামটি নির্বাচন করা হয়েছিল। এর দুটো নামই পাঠকের কাছে যথাযথ মনে হতে পারে, কারণ এতে রাসেল যেমন মানুষের যুদ্ধ-প্রণোদনার কারণ বিশ্লেষণ করেছেন তেমনই সামাজিক পুনর্নির্মাণের রূপরেখাও অংকন করেছেন। তিনি বলেছেন 'মানুষের সকল ক্রিয়ার উৎস হলো দুটি: তাড়না ও বাসনা'—তা যেমন মানুষকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয় তেমনই মানুষের যুক্তিবুদ্ধি তাকে সহিংসতাবিরোধী ও যুদ্ধবিরোধী, শান্তিপ্রিয়, সামাজিক ও বুদ্ধিবাদী নাগরিক হতে প্রবুদ্ধ করে।
১৯১৪ সালের পর থেকে ঊনবিংশ শতাব্দীর অকার্যকর উদারপন্থার প্রেক্ষাপটে রাসেল তাঁর সামাজিক পুনর্গঠনের নীতি তুলে ধরেছেন, যা কেবল রাষ্ট্র নয়, সম্পত্তি, শিক্ষা, বিবাহ ও জনসংখ্যার প্রশ্ন, ধর্ম ও চার্চ নিয়ে ব্যাপৃত। "এই বইটিকে পণ্ডিতজন ও সাধারণ মানুষ সমভাবে রাজনৈতিক দর্শনে রাসেলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
কম দেখান