‘অহ্।’
নিতু চলে আসার সময় মাহবুব পিছু ডাকল,
‘নিতু ...’
নিতু জবাব দিলনা তবে দাঁড়িয়ে রইল কিছুক্ষণ। মাহবুব কিছুই বলল না।
‘এমনি ডাকলেন?’
‘তোর যে একটা কাউকে ভালো লাগে লিখেছিলি চিঠিতে, ওটা কি সত্যি?’
‘মিথ্যে কেন লিখব?’
‘প্রশ্ন করছিস কেন? সোজা করে জবাব দিতে কি তোর বাঁকা দাঁত মানা করছে?’
‘আপনিও তো লিখেছিলেন আপনার একজনকে ভালো লাগে, সেটা...
আরো পড়ুন
‘অহ্।’
নিতু চলে আসার সময় মাহবুব পিছু ডাকল,
‘নিতু ...’
নিতু জবাব দিলনা তবে দাঁড়িয়ে রইল কিছুক্ষণ। মাহবুব কিছুই বলল না।
‘এমনি ডাকলেন?’
‘তোর যে একটা কাউকে ভালো লাগে লিখেছিলি চিঠিতে, ওটা কি সত্যি?’
‘মিথ্যে কেন লিখব?’
‘প্রশ্ন করছিস কেন? সোজা করে জবাব দিতে কি তোর বাঁকা দাঁত মানা করছে?’
‘আপনিও তো লিখেছিলেন আপনার একজনকে ভালো লাগে, সেটা কি মিথ্যে?’
‘তোর কি মনে হয় আমি মিথ্যে বলতে পারি? আমি তো সেই কবে থেকেই বাঁধা পড়ে আছি আমার বউয়ের কাছে!’
নিতু বুকের হাহাকারটা মুখের উচ্ছলতায় বদলে দিয়ে বলল, ‘কংগ্র্যাচুলেশনস মাহবুব ভাই।’
‘কংগ্র্যাচুলেট কেন করছিস? আজ নতুন শুনছিস নাকি? এমনভাবে টিজ করছিস যেন আমার কাউকে ভালো লাগতেই পারে না।’
নিতু হাসল। মাহবুব বিভ্রান্তের মতো তাকিয়ে রইল। নিতু তার হাতের ব্রেসলেটটা খুলে মাহবুবের সামনে রেখে বলল,
‘এটা তাকে দেবেন। বলবেন, একজন আপনার কাছে অনেক দেনায় আটকে ছিল, এটা দিয়ে মুক্ত হলো!’
‘হাত থেকে একটা ব্রেসলেট খুলে দিলেই ঋণ শোধ হয়ে গেল বুঝি! এত সোজা?’
নিতু শীতল দৃষ্টিতে তাকাল।
‘কেন? আপনার কাছে কি আমার এর থেকে বেশি ঋণ আছে?’
মাহবুব জবাব দিল না। জায়গা থেকে উঠে এসে নিতুর ব্রেসলেটটা নিতুর হাতেই পরিয়ে দিল।
নিতু কিছু বলতে চাইছিল। মাহবুব সুযোগ দিল না। দ্রুত রুমের দিকে চলে গেল। নিতু ফিসফিস করে বলল, আমার হাতের জিনিস আপনার বউকে দিতে এত আপত্তি? আপনার কাছে এত অবহেলার আমি?
কম দেখান