নিঃসন্দেহে বলা যায়, মা একটি শব্দমাত্র নয়। এই শব্দ সম্পর্কের সূত্রই শুধু তৈরি করে না, নারীর জীবনমাত্রাকে বিস্তৃত পরিসরে প্রতিষ্ঠিত করে। মায়ের গর্ভ থেকে বেরিয়ে আসে সন্তান। নাড়ি কেটে বিচ্ছিন্ন করতে হয় মানবশিশুকে-এই মানবশিশুই মানবজীবনের প্রবহমানতার ধারা।মায়ের ভুবনে বেড়ে ওঠে মানবপ্রজাতি। জন্মের পর থেকে প্রতিদিনের পরিচর্যায় তাকে বেড়ে ওঠায় সহযোগিতা...
আরো পড়ুন
নিঃসন্দেহে বলা যায়, মা একটি শব্দমাত্র নয়। এই শব্দ সম্পর্কের সূত্রই শুধু তৈরি করে না, নারীর জীবনমাত্রাকে বিস্তৃত পরিসরে প্রতিষ্ঠিত করে। মায়ের গর্ভ থেকে বেরিয়ে আসে সন্তান। নাড়ি কেটে বিচ্ছিন্ন করতে হয় মানবশিশুকে-এই মানবশিশুই মানবজীবনের প্রবহমানতার ধারা।মায়ের ভুবনে বেড়ে ওঠে মানবপ্রজাতি। জন্মের পর থেকে প্রতিদিনের পরিচর্যায় তাকে বেড়ে ওঠায় সহযোগিতা দেয় মা। এভাবে সম্পর্কের সূত্র বড় হয়,গভীর হয় এবং ভালোবাসায় বন্ধনে অটুট থাকে আমৃত্যু। এসব নিয়েই মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক সভ্যতার ধারাবাহিকতায়।
মানুষের সৃজনশীল চর্চায় এই সম্পর্কের বন্ধন নানা মাত্রায়, বিচিত্র অনুষঙ্গে উঠে এসছে। বিশ্বের সব দেশের ব্যক্তির সৃজনশীলতায় মা বড় উপাদান হিসেবে সংযোজিত হয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে সাহিত্য,সঙ্গীত, চলচ্চিত্র, চিত্রকলা।
মার্জিয়া লিপি সম্পাদিত এই বই মায়ের অসাধারণ চিত্রায়ণ। মাতৃকেন্দ্রিক অনুভবকে মার্জিয়া সম্পাদনার দক্ষতায় নানা অধ্যায়ে ভাগ করে বিন্যস্ত করেছে। যেমন- স্মৃতিকথায় মা, বরণীয়দের মা,কবিতা,গান, ছাড়া, গল্প, চিঠি, প্রবন্ধ, নাটক,উপন্যাস, দিনলিপিতে মা ইত্যাদি। অধ্যায়গুলো প্রমাণ করে সৃজনশীলতার নানা মাত্রায় লেখক মায়ের অনুভবকে ধারণ করেছে। পাঠকের সামনে হাজির হয়েছে চেনা পৃথিবীর হাজার রকম পথঘাটে। মাকে নিয়ে এমন একটি বইয়ের সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করার জন্য মার্জিয়া লিপিকে অভিনন্দন। বইটি পাঠের আনন্দ উজ্জীবিত করবে পাঠকদের- এমইনই প্রত্যাশা আমাদের।
কম দেখান