আহমদ ছফা আগাগোড়া একজন প্রতিবাদী লেখক। তাঁর শৈল্পিক লেখার চেয়ে প্রতিবাদী লেখার পরিমাণই বেশি। তাঁর শৈল্পিক লেখার মধ্যেও কোনো না কোনোভাবে একধরনের প্রতিবাদের ধরন কাজ করে, তার থেকে তিনি খুব কম সময়েই মুক্ত থাকতে পেরেছেন। এ বইয়ে যে সমস্ত লেখা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তার সবগুলোই নানাবিষয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে লেখা। আহমদ...
আরো পড়ুন
আহমদ ছফা আগাগোড়া একজন প্রতিবাদী লেখক। তাঁর শৈল্পিক লেখার চেয়ে প্রতিবাদী লেখার পরিমাণই বেশি। তাঁর শৈল্পিক লেখার মধ্যেও কোনো না কোনোভাবে একধরনের প্রতিবাদের ধরন কাজ করে, তার থেকে তিনি খুব কম সময়েই মুক্ত থাকতে পেরেছেন। এ বইয়ে যে সমস্ত লেখা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তার সবগুলোই নানাবিষয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে লেখা। আহমদ ছফা যে কঠিন কথাটিকে কত সহজ করে বলতে পারেন তাঁর এ বইয়ের রচনাগুলো পাঠে তা খানেকটা হলেও মনে করিয়ে দেয়। বইয়ের রচনাগুলো পাঠ করতে গিয়ে যেকোন পাঠক অবশ্যই উপলব্ধি করবেন কী পরিমাণ দেশপ্রেম, কী পরিমাণ স্পষ্টবাদিতা, কী পরিমাণ সংবেদনশীলতা, কী পরিমাণ প্রতিবাদের মানসিকতা, কী পরিমাণ সাহসিকতা আহমদ ছফার মধ্যে কাজ করেছে তা বুঝিয়ে বলার অপেক্ষা রাখে না। তিনি যে বলতেন, 'আমাকে ভালমন্দ যে যা বলে বলুক, আমি নিজের কাছে নিজে অনন্য।' নিজের প্রতি যে নিজের প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস সেটা খুব কম মানুষের মধ্যে দেখা যায়। আগাগোড়া সৎ না হলে এমন কথা বলা কারও পক্ষে সম্ভব নয়, যার ফলস্বরূপ কোন অন্যায় দেখলে তিনি ফোঁস করে ফনা তোলা সাপের মত দাঁড়িয়ে যেতেন। এটা আহমদ ছফার চরিত্রের বড় এক বৈশিষ্ট্য। এটাই তাঁকে অনন্যতা এনে দিয়েছিল, এ বইয়ের রচনাগুলো পাঠে তা কমবেশি আমাদের মনে করিয়ে দেয়।
কম দেখান