বাবার রঙের ঘরটা সামিয়ার খুব পছন্দ। 'রঙের ঘর' নামটা সামিয়ারই দেওয়া। বাবা বিকেল বেলা ইউনিভার্সিটি থেকে এসে আধা ঘণ্টার মতো শুয়ে বিশ্রাম নেন। তারপর উঠে চা খেয়ে এই ঘরে ঢোকেন। একটা বেতের ইজিচেয়ার আছে ঘরটায়। সেখানে বসে আলতো করে দোল খেতে থাকেন। একসময় রংতুলি নিয়ে ক্যানভাসের সামনে দাঁড়ান তারপর গভীর...
আরো পড়ুন
বাবার রঙের ঘরটা সামিয়ার খুব পছন্দ। 'রঙের ঘর' নামটা সামিয়ারই দেওয়া। বাবা বিকেল বেলা ইউনিভার্সিটি থেকে এসে আধা ঘণ্টার মতো শুয়ে বিশ্রাম নেন। তারপর উঠে চা খেয়ে এই ঘরে ঢোকেন। একটা বেতের ইজিচেয়ার আছে ঘরটায়। সেখানে বসে আলতো করে দোল খেতে থাকেন। একসময় রংতুলি নিয়ে ক্যানভাসের সামনে দাঁড়ান তারপর গভীর মনোযোগ দিয়ে আঁকা শুরু করেন। সামিয়া তখন দূরে দাঁড়িয়ে বাবার আঁকা দেখে, কোনো কথা বলে না। বাবাও এতটাই নিমগ্ন থাকেন ছবি আঁকায় যে আশেপাশে বা খানিকটা দূরে দাঁড়িয়ে কেউ তাকে দেখছে কি না খেয়ালই করেন না। তুলির টানে কী যে সুন্দর সুন্দর ছবি এঁকে ফেলেন! সামিয়া মুগ্ধ হয়ে তাকিয়েই থাকে। আজ রঙের ঘরে ঢুকে একটা ছবির দিয়ে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে সামিয়া। বেশ বড়ো ক্যানভাস। লাল-সবুজে মেশামিশির ভেতর কালচে কালচে টান। ছবির ভেতরে... দূরে একটা ছোট্ট ছেলে পতাকা হাতে দৌড়ে যাচ্ছে। কতই-বা বয়স হবে ছেলেটার! সামিয়ার চেয়ে দু-এক বছরের বড়ো হবে। পতাকার রং লাল-সবুজ। বাবার কাছে সামিয়া আজ জিজ্ঞেস করবে লাল-সবুজ রঙের কথা। কেন এই লাল-সবুজ রং বাবার এত পছন্দ? লাল-সবুজ মেশামিশির ভেতর কালচে রঙের টান। ছোট্ট ছেলেটা দৌড়াচ্ছে। পতাকা উড়ছে পতপত করে।
কম দেখান