মহান স্বাধীনতাযুদ্ধকালে একদিকে চলছিল হানাদারবাহিনীর গণহত্যা, ধ্বংস ও ধর্ষণযজ্ঞ। অন্যদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ দেশকে শত্রুমুক্তকরণের প্রত্যয়ে নির্ভীকচিত্তে লড়ছিলেন দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। সেসময় বাংলার প্রতিটি পরিবার কোনো না কোনোভাবে পাকবাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞের কোপানলে পড়ে হারিয়েছেন স্বজন, সম্ভ্রম, বাস্তুভিটা বা সহায়সম্পদ। বিপুলসংখ্যক বাঙালিকে হতে হয়েছে উদ্বাস্তু। উদ্বাস্তুদের ৯৮ লক্ষকে শরণার্থী হিসেবে ভারতে আশ্রয় গ্রহণ...
আরো পড়ুন
মহান স্বাধীনতাযুদ্ধকালে একদিকে চলছিল হানাদারবাহিনীর গণহত্যা, ধ্বংস ও ধর্ষণযজ্ঞ। অন্যদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ দেশকে শত্রুমুক্তকরণের প্রত্যয়ে নির্ভীকচিত্তে লড়ছিলেন দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। সেসময় বাংলার প্রতিটি পরিবার কোনো না কোনোভাবে পাকবাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞের কোপানলে পড়ে হারিয়েছেন স্বজন, সম্ভ্রম, বাস্তুভিটা বা সহায়সম্পদ। বিপুলসংখ্যক বাঙালিকে হতে হয়েছে উদ্বাস্তু। উদ্বাস্তুদের ৯৮ লক্ষকে শরণার্থী হিসেবে ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করে মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়েছে। দেশে অবস্থানরতদের অনেককে নিঃস্ব অবস্থায় নিপতিত হয়ে বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে।
সার্বিকভাবে স্বাধীনতাযুদ্ধকালে দেশটি হয়ে পড়েছিল একটি ভীতিপ্রদ জনপদ। প্রতিনিয়ত প্রাণরক্ষার জন্য দেশবাসীকে হতে হতো উৎকণ্ঠিত। এ ধরনের ভয়াল পরিবেশে নিপতিত হতে হয় মানবেতর জীবনে। আশ্রয় খুঁজতে হয় আত্মরক্ষার্থে। শরণার্থী হিসেবে চলে যেতে হয় ভারতে। জীবিকার জন্য যুক্ত হতে হয় অপ্রত্যাশিত পেশায়। এ ধরনের নানারৈখিক অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা হয়েছে কথা ’৭১। গ্রন্থটিতে আরও বিধৃত হয়েছে গণহত্যা ও স্বাধীনতাযুদ্ধসহ সাধারণ জনগণের জীবনাচারের নানাবিধ আখ্যান। আশা-নিরাশার নানাদিক। আশা করি এ গ্রন্থ পাঠের মাধ্যমে সম্মানিত পাঠককুল স্বাধীনতাযুদ্ধকালের আমজনতার যাপিত জীবন সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেতে সক্ষম হবেন এবং গ্রন্থটি সমাদৃত হবে।
কম দেখান