একসময় পৃথিবীর বিদগ্ধ বা অভিজাত মানুষদেরই শুধু বিনোদনের ব্যবস্থা ছিল। আপামর জনসাধারণের জীবনে কিছু গোমড়ামুখো সন্ধ্যা ছাড়া আর কিছু ছিল না । কিন্তু পপ কালচার বা জনসংস্কৃতি আসার পর দৃশ্যপট পুরোপুরি বদলে গেল। খেটে খাওয়া মানুষ থেকে কোটিপতি—সবার অবসর মুহূর্তগুলো জমজমাট ও অর্থবহ হয়ে উঠল। অবশ্য ‘সস্তা', ‘চটুল’, ‘খেলো’, ‘মেকি'...
আরো পড়ুন
একসময় পৃথিবীর বিদগ্ধ বা অভিজাত মানুষদেরই শুধু বিনোদনের ব্যবস্থা ছিল। আপামর জনসাধারণের জীবনে কিছু গোমড়ামুখো সন্ধ্যা ছাড়া আর কিছু ছিল না । কিন্তু পপ কালচার বা জনসংস্কৃতি আসার পর দৃশ্যপট পুরোপুরি বদলে গেল। খেটে খাওয়া মানুষ থেকে কোটিপতি—সবার অবসর মুহূর্তগুলো জমজমাট ও অর্থবহ হয়ে উঠল। অবশ্য ‘সস্তা', ‘চটুল’, ‘খেলো’, ‘মেকি' ইত্যাকার বিশেষণ যুক্ত করে জনসংস্কৃতিকে বরাবরই কোণঠাসা করে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, জনসংস্কৃতি সমাজে অবক্ষয় ডেকে আনে । কিন্তু শেষ অবধি জনসংস্কৃতির স্রোত থামানো যায়নি। জনসংস্কৃতি এখন রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিবিদেরও অন্যতম হাতিয়ার । দৈনন্দিন জীবনের সব কিছুতে জনসংস্কৃতি এমনভাবে আসন গেড়ে বসেছে যে, আমরা চাইলেও একে এড়াতে পারি না। এজন্যই জনসংস্কৃতির পুঙ্খানুপুঙ্খ পঠনপাঠন জরুরি। সে লক্ষ্যেই এ গ্রন্থের অবতারণা। এই গ্রন্থে তথ্য ও তত্ত্বের আলোকে জনসংস্কৃতির রূপ ও রূপান্তরের একটি বস্তুনিষ্ঠ রূপরেখা উপস্থাপন করা হয়েছে । বাংলা ভাষায় জনসংস্কৃতির ওপর একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থের যে অভাব এত দিন ছিল, বর্তমান গ্রন্থ সেই অভাব কিছুটা হলেও পূরণ করবে বলে আশা করা যায়।
কম দেখান