ঝুমঝুমপুর। নাম শুনলেই গা ছমছম করে ওঠে। রূপকথার অচিনপুরের কথা কে-না শুনেছে! সেখানে সোনার রাজবাড়ি আছে। সেখানে সোনার খাটে ঘুমিয়ে থাকে অপরূপ সুন্দরী রাজকন্যে। রাজকন্যে রাক্ষসদের হাতে বন্দী। ওরা সবাইকে শেষ করে, সুন্দর রাজকন্যেকে প্রাণে বাঁচিয়ে রেখেছে। কন্যের পায়ের কাছে রুপোর কাঠি আর মাথার কাছে সোনার কাঠি। সে কাঠি উল্টে-পাল্টে...
আরো পড়ুন
ঝুমঝুমপুর। নাম শুনলেই গা ছমছম করে ওঠে। রূপকথার অচিনপুরের কথা কে-না শুনেছে! সেখানে সোনার রাজবাড়ি আছে। সেখানে সোনার খাটে ঘুমিয়ে থাকে অপরূপ সুন্দরী রাজকন্যে। রাজকন্যে রাক্ষসদের হাতে বন্দী। ওরা সবাইকে শেষ করে, সুন্দর রাজকন্যেকে প্রাণে বাঁচিয়ে রেখেছে। কন্যের পায়ের কাছে রুপোর কাঠি আর মাথার কাছে সোনার কাঠি। সে কাঠি উল্টে-পাল্টে দিলেই ঘুমন্ত রাজকন্যে জেগে ওঠে। সেই রূপকথার অচিনপুরের মতোই ঝুমঝুমপুর সম্পর্কেও গ্রামবাসীর মধ্যে বিভিন্ন উপাখ্যান ছড়িয়ে আছে। ছড়িয়ে আছে আতঙ্ক।
কিন্তু কেন এ আতঙ্ক? কী এমন ভয়-ভীতি ওদের মধ্যে কাজ করছে। ঝুমঝুমপুর ছাড়িয়ে আট-দশ-গ্রামব্যাপী এই গা-ছমছম গল্পকথা লোকমুখে আলোচিত হয়।
দুপুরের পর থেকে ও-গ্রামে মানুষের পায়ের শব্দ শোনা যায় না। শতাব্দীর স্মৃতি ধারণ করে ক্ষত-বিক্ষত জমিদার বাড়িটি দাঁড়িয়ে আছে। ঠিক দাঁড়িয়ে নয়, বলা যায়, ক্রাচে ভরকরা পঙ্গু লাঠিয়ালের মতো কয়েকটি থামের ওপর কোনো রকম টিকে আছে। সেই কাহিনি নিয়েই এই ঝুমঝুমপুর রহস্য।
কম দেখান