যাকাতের মূল উদ্দেশ্যই হল সম্পদ যেন কিছু সংখ্যক ধনী ব্যক্তির হাতে পুঞ্জিভূত না হয়ে জনসাধারণের কল্যাণে আবর্তিত হয়। "তাদের (ধনীদের) ধন-সম্পদে রয়েছে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতদের অধিকার।" (সূরা আজ্জারিয়াত: ১৯)। "যাদের ধন-মালে প্রার্থনাকারী এবং বঞ্চিতদের একটা নির্দিষ্ট অধিকার রয়েছে।" (সূরা মা'আরিজ: ২৪-২৫)। ইবনে উমর (রা.) হতে বর্ণিত: তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল...
আরো পড়ুন
যাকাতের মূল উদ্দেশ্যই হল সম্পদ যেন কিছু সংখ্যক ধনী ব্যক্তির হাতে পুঞ্জিভূত না হয়ে জনসাধারণের কল্যাণে আবর্তিত হয়। "তাদের (ধনীদের) ধন-সম্পদে রয়েছে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতদের অধিকার।" (সূরা আজ্জারিয়াত: ১৯)। "যাদের ধন-মালে প্রার্থনাকারী এবং বঞ্চিতদের একটা নির্দিষ্ট অধিকার রয়েছে।" (সূরা মা'আরিজ: ২৪-২৫)। ইবনে উমর (রা.) হতে বর্ণিত: তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ইসলামের স্তম্ভ পাচঁটি:
১। আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোনো উপাস্য নেই এবং নিশ্চয়ই মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা। ২। সালাত কায়েম করা। ৩। যাকাত আদায় করা। ৪। হজ্জ সম্পাদন করা। ৫। রমজানের সিয়ামব্রত পালন করা। (সহীহ আল-বুখারি: ইমান অধ্যায়, হাদিস নং ৮)।
সুতরাং যাকাত ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে তৃতীয় স্তম্ভ। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় যাকাত হলো একটি আর্থিক ইবাদত। নিজের মালিকানায় থাকা ধনসম্পদের একটি নির্দিষ্ট অংশ গরিব, মিসকিন ও অভাবী লোকদের মাঝে বণ্টন করাকে যাকাত বলে। যাদের কাছে বাৎসরিক খরচের পর সাড়ে সাত তোলা পরিমাণ স্বর্ণ বা সমমূল্যের সম্পদ কিংবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা পরিমাণ রৌপ্য বা সমমূল্যের সম্পদ এক বছর গচ্ছিত থাকে, তাদের উপরই যাকাত ফরজ হয়। গচ্ছিত সম্পদের ২.৫ শতাংশ আল্লাহর নির্ধারিত আটটি খাতে যাকাত দিতে হয়। কোরআনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৮২টি আয়াতে যাকাতের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে- যাকাত শব্দ দ্বারা ৩০ বার, ইনফাক শব্দ দ্বারা ৪৩ বার এবং সদাকা শব্দ দ্বারা ৯ বার। যাকাত ইসলামি অর্থ ব্যবস্থার মূল চালিকাশক্তি। যাকাতকে অস্বীকার করা ইসলামকে অস্বীকার করার শামিল। আবার যাকাতকে অস্বীকার করা অথবা হালকা মনে করে যাকাত যথাযথভাবে না দিয়ে মনগড়া কিছু দেওয়াও কবিরা গুনাহের অন্যতম একটি গুনাহ। যারা রাসুল (সা.)-এর শাসনামলে যাকাত দিতেন, কিন্তু আবু বকর (রা.)-এর শাসনামলে যাকাতকে অস্বীকার করা তো দূরের কথা উটের সামান্য একটি রশি পরিমাণ (যা রাসুল সা: এর আমলে দিত) যাকাত দেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর (রা.) যুদ্ধ ঘোষণা করলেন। কোরআন মাজিদে মোট ২৮ জায়গায় নামাজ ও যাকাতের উল্লেখ একত্রে করা হয়েছে। মূলত ইসলামে নামাজ ও যাকাতের মধ্যে পার্থক্য করার কোন অবকাশ নাই। ইবনে যায়েদ (রা.) বলেছেন, "নামাজ ও যাকাত একসাথে ফরজ করা হয়েছে, এ দুটির মধ্যে কোনরূপ পার্থক্য করা হয়নি।" এ কারণে ইসলামে যাকাত আদায়ের
কম দেখান