ধাঁধার কথা আসলেই যার নাম মুখে আসে সে হলো কালিদাস পণ্ডিত। তার ধাঁধা নাকি যুগ যুগ ধরে গ্রাম বাংলার মানুষের মুখে মুখে ঘুরে ফিরত। সেও এমন সব ধাঁধা যা শুনলে মাথা ঘুরে যায়। বাপরে কী কঠিন সেই ধাঁধা।
তবে তাকে আমাদের গ্রাম বাংলার ধাঁধার জনক বলা যায় অনায়াসে। কালিদাস পণ্ডিতের ধাঁধা...
আরো পড়ুন
ধাঁধার কথা আসলেই যার নাম মুখে আসে সে হলো কালিদাস পণ্ডিত। তার ধাঁধা নাকি যুগ যুগ ধরে গ্রাম বাংলার মানুষের মুখে মুখে ঘুরে ফিরত। সেও এমন সব ধাঁধা যা শুনলে মাথা ঘুরে যায়। বাপরে কী কঠিন সেই ধাঁধা।
তবে তাকে আমাদের গ্রাম বাংলার ধাঁধার জনক বলা যায় অনায়াসে। কালিদাস পণ্ডিতের ধাঁধা নিয়ে মানুষ মাথা ঘামাতে পছন্দ করে।
এই বইয়ে কালিদাস পণ্ডিতের অসংখ্য ধাঁধা সংকলিত হয়েছে। যা পড়ে বিস্তৃত হবে শিশুদের জ্ঞানের রাজ্য। বিকশিত হবে তাদের মন মানসিকতা।
এই বইয়ে যে সব ধাঁধা সংকলিত হয়েছে তা পড়ে ভালো লাগবে সবার।
এক কালের রাজা-বাদশা এবং তাদের প্রধান প্রধান অধিক মাত্রায় বিদূষক পুষতেন। গোপাল ভাঁড় কাল্পনিক চরিত্র হতে পারে। বীরবল কিন্তু কাল্পনিক চরিত্র নয়। নবরত্ন সভার অন্যতম রত্ন ছিলেন তিনি। নাসিরুদ্দিন হোজ্জা ইরান না তুরান, কোন্ দেশের লোক তা আমাদের সঠিক জানা নেই। কিন্তু তার কার্যকলাপ ও অভ্যাসকে কেন্দ্র করে চলছে মজার জোকস্ সেগুলি কিন্তু সর্বকালের এবং সর্বদেশের সম্পদ।
জোকস্ সম্পর্কে অনেকের কিছুটা নাক-সিটকানো ভাব লক্ষ্য করা যায়। এক ধরনের হাই-ব্রাউ মনোভাবের পরিচয় প্রকাশ।
আমরা সবাই মজার জোকস্ পরিবেশন করতে পারি না। কেননা, জোকস্ পরিবেশন করতে হলে কিছুটা শিল্পীসুলভ গুণ থাকা প্রয়োজন। তাই বলে জোকস্ আমরা উপভোগ করি। জোকস্ পছন্দ করে না এমন কেউ বুকে হাত দিয়ে কেউ বলতে পারবোনা। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘কৌতুক রসকে আমাদের প্রবীণ লোকমাত্র ছেব্লামি বলিয়া ঘৃণা করিয়া থাকেন।’
এদের সম্পর্কে আমাদের বিশেষ কিছু বলার নাই। এরা করুণার পাত্র। আগেকার দিনে আমাদের দেশে অসংখ্য জোকস্ মানুষের মুখে মুখে ফিরতো। এ ধরনের অনেক জোকস্ গোপাল ভাঁড়ের নামেও চালিয়ে দেওয়া হয়।
জোকস্ এখন তার স্থান করে নিয়েছে পত্র-পত্রিকায়। দেশি-বিদেশি প্রায় সব পত্রিকাতেই জোকস্ পরিবেশন করা হয়। কেউ এই বিভাগের নাম রাখে ‘হসন্তিকা’, কেউ ‘টিপ্পনী’, কেউ বা ‘গল্পিকা’। উদ্দেশ্য কিন্তু সকলেরই একজোকস্ পরিবেশন।
বিদেশে জোকস্ বিশেষ কদর আছে।
বিদেশে জোকস্ সংগ্রহ-গ্রন্থ পাওয়া যায় বেশুমার।
আমাদের দেশে এ ধরনের সংগ্রহ-গ্রন্থ খুব কমই চোখে পড়ে।
এ কথা মনে রেখেই এই জোকস্ সংগ্রহ করে প্রকাশ করেছে।
এই সংগ্রহ-গ্রন্থে জোকস্ পাশাপাশি দেশি-বিদেশি কার্টুনও পরিবেশন করা হয়েছে।
কেউ কেউ মনে করেন, কার্টুন মাত্রেই হাল্কা হাসির খোরাক। এমন ধারণা ভুল নয় শুধু, অজ্ঞতার পরিচয় বহন করে বটে।
কার্টুন আপনাকে হাসাতে পারে, কাঁদাতে পারে, উত্তেজিত করতে পারে (উভয়ার্থে)। আবার দার্শনিকও করে তুলতে পারে।
বিদেশে কার্টুন-শিল্পীদের বিশেষ কদর আছে।
প্রসঙ্গতঃ মার্কিন চিত্রকর ও কার্টুন-শিল্পী ষ্টেইনবার্জের নাম মনে পড়ে যায়। ষ্টেইনবার্জ এক একটি কার্টুনের জন্য পাঁচ হাজার ডলার অর্থাৎ প্রায় পঁচিশ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করেন!
কার্টুন দার্শনিক চিন্তার উদ্রেক করতে পারে।
ছবি ও গল্পকণিকা তথা জোকস এই সংগ্রহ-গ্রন্থটি রসপিপাসু পাঠকের চিত্তবিনোদনে সফল হলেই সংকলক ও প্রকাশকের পরিশ্রম সার্থক।
কম দেখান