লেখালেখিকে তিনি বলেন সাধনা। তাঁর কলমে কখনো কখনো এক একটি প্রতীকই হয়ে ওঠে এক একটি নিটোল কবিতা। পৌরাণিক উৎস থেকে প্রায়শই চয়ন করেন নতুন নতুন কবিতার বীজ। এই নিমগ্ন কবির নতুন কাব্যগ্রন্থ ‘একশো আটটি ফুল' পাঠক মহলে সমাদৃত হোক, এই প্রত্যাশা আমাদের ।
নব্বই দশকের শুরুতে ‘লোভ দেখালেও জুঁই-চন্দন' কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের...
আরো পড়ুন
লেখালেখিকে তিনি বলেন সাধনা। তাঁর কলমে কখনো কখনো এক একটি প্রতীকই হয়ে ওঠে এক একটি নিটোল কবিতা। পৌরাণিক উৎস থেকে প্রায়শই চয়ন করেন নতুন নতুন কবিতার বীজ। এই নিমগ্ন কবির নতুন কাব্যগ্রন্থ ‘একশো আটটি ফুল' পাঠক মহলে সমাদৃত হোক, এই প্রত্যাশা আমাদের ।
নব্বই দশকের শুরুতে ‘লোভ দেখালেও জুঁই-চন্দন' কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের মধ্য দিয়ে কবি সাবিনা ইয়াসমিনের আনুষ্ঠানিকভাবে সাহিত্য জগতে প্রবেশ। যদিও লেখালেখির শুরু স্কুলজীবনেই। নম্র স্বভাবের কবি সাবিনা ইয়াসমিন। কবিতার শব্দাবলীও তাই অত্যন্ত কোমল, সুনির্বাচিত এবং শ্রুতিমধুর অত্যন্ত পরিশীলিত কণ্ঠে তিনি বলেন— ‘বসে আছি/কণ্ঠে আমার মন্ত্রালয়ে শিল্পের গান গীত/শিল্পোৎসব শুরু হবে আজ— মালিন্যবর্জিত।'
তবে শহিদকন্যা সাবিনার শ্রাবণ ভরা বুকের ভেতর আগুনও আছে। তাঁর কবিতার পঙ্ক্তিতে পঙ্ক্তিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঝলসে ওঠা শব্দের অনায়াস প্রয়াস ও দেশপ্রেমের স্বাক্ষর চোখে পড়ে। শহিদ বাবাকে নিয়ে লেখা কবিতা ‘মৃত্যুহীন প্রাণ'-এর চরণ—‘হায়েনা, শকুন, জানতিস না কি/এ দেশ স্বাধীন হবে?/রক্ত ঝরেছে যে পিতার/তার সন্তানেরা এ দেশের কথাই কবে?' যেন চাবুকের মতো চমকায় ।
তাঁর কবিতায় পৌরাণিক অনুষঙ্গ, উপমা ও উৎপ্রেক্ষার ব্যবহার লক্ষ্যণীয়। সমসাময়িকতা, সমাজসচেতনতা ও মৃত্তিকাসংলগ্নতা সাবিনার কবিতার বৈশিষ্ট্য।
কম দেখান