আমাদের কালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিক যখন আমাদের ইতিহাসের মহত্তম ঘটনার শরিক থাকার অভিজ্ঞতা বর্ণনায় অগ্রসর হন, তখন নিঃসন্দেহে গভীরতর ব্যঞ্জনা নিয়ে ফুটে উঠে মুক্তিযুদ্ধের বাস্তবতা। কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক তাঁর দেখা একাত্তরের বর্ণনা শুরু করেছেন নিস্পৃহ নিরাবেগ ভঙ্গিতে।
বইয়ের সূচনাবাক্যে তিনি লিখেছেন : ‘আমার জানা ছিল না যে পানিতে ভাসিয়ে দিলে...
আরো পড়ুন
আমাদের কালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিক যখন আমাদের ইতিহাসের মহত্তম ঘটনার শরিক থাকার অভিজ্ঞতা বর্ণনায় অগ্রসর হন, তখন নিঃসন্দেহে গভীরতর ব্যঞ্জনা নিয়ে ফুটে উঠে মুক্তিযুদ্ধের বাস্তবতা। কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক তাঁর দেখা একাত্তরের বর্ণনা শুরু করেছেন নিস্পৃহ নিরাবেগ ভঙ্গিতে।
বইয়ের সূচনাবাক্যে তিনি লিখেছেন : ‘আমার জানা ছিল না যে পানিতে ভাসিয়ে দিলে পুরুষের লাশ চিৎ হয়ে ভাসে আর নারীর লাশ ভাসে উপুড় হয়ে। এই জ্ঞান আমি পাই ’৭১ সালের মার্চ মাসের একবারে শেষে।’ জীবনের নিষ্ঠুরতার বর্ণনায় এমনি অসাধারণ শিল্পদৃষ্টির প্রকাশ আমাদের চমকে দিয়ে দাঁড় করিয়ে দেয় কঠিন সত্যরূপের মুখোমুখি। শক্তিমান লেখকের সংহত জীবনদৃষ্টি এমনিভাবে পরতে পরতে উদ্ভাসিত এই গ্রন্থে।
একান্ত ব্যক্তিগত সাধারণ অভিজ্ঞতাকে শিল্পের পুণ্যস্পর্শে তিনি করে তুলেছেন সর্বকালীন ও সর্বজনীন। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক অজস্র বইয়ের ভিড়ে তাই উজ্জ্বল ব্যতিক্রম হিমেবে অনায়াসে চিহ্নিত হবে এই বই।
কম দেখান