আমাদের পৃথিবী গ্রহে মানুষের জন্ম-মৃত্যুর বিরাম নেই। শত কোটি মানুষ ছড়িয়ে আছে পৃথিবীর দেশে দেশে। কিন্তু সময়ের স্রোতে ভেসে যায় মানুষের সংখ্যা। কেউ তাদের মনে রাখার কথা ভাবে না। ক’জনই বা তাদের পরিচয় নিয়ে মাথা ঘামায়। অথচ মহাকাল সযত্নে বুকে ধরে রাখে কিছু মানুষের স্মৃতি।...
আরো পড়ুন
আমাদের পৃথিবী গ্রহে মানুষের জন্ম-মৃত্যুর বিরাম নেই। শত কোটি মানুষ ছড়িয়ে আছে পৃথিবীর দেশে দেশে। কিন্তু সময়ের স্রোতে ভেসে যায় মানুষের সংখ্যা। কেউ তাদের মনে রাখার কথা ভাবে না। ক’জনই বা তাদের পরিচয় নিয়ে মাথা ঘামায়। অথচ মহাকাল সযত্নে বুকে ধরে রাখে কিছু মানুষের স্মৃতি। তাদের জীবনের উত্থান-পতনের কাহিনি। কাল থেকে কালান্তরে সময় তাঁদেরই গুণ গাথা শুনিয়ে চলে অনাদিকালের মানুষকে।
এই স্মরণীয়-বরণীয় মানুষেরা সবকালে সব দেশেই জন্মায়। তাঁদের সংখ্যা সীমিত, তাঁদেরই কর্মকৃতিত্বের ভিতের উপর গড়ে উঠেছে মানবসভ্যতার ইমারত।
সময়ের সিঁড়ি বেয়ে সভ্যতার অগ্রগতি ঘটেছে কালজয়ী মানুষদেরই অবিস্মরণীয় অবদানের কল্যাণে।
আমাদের মতোই সাধারণ কিংবা অতি সাধারণ ঘরে জন্মে এক একটি মানুষ তাদের ত্যাগ, তিতিক্ষা, নিষ্ঠা ও অধ্যবসায় বলে অর্জন করেছেন দুর্লভ জীবনের মহত্ব। যে কোনো ব্যক্তির মূল্যায়নের জন্য তাঁর সময়কে উপলব্ধি করা দরকার। ইতিহাসখ্যাত ব্যক্তিদের কীর্তি নিঃসন্দেহে ভবিষ্যৎকে আলোকিত করে। কিন্তু তাদের সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে যখন তাদের অবদান আমরা বিচার করি তখন চমৎকৃত না হয়ে পারি না। যে সময়ে বা স্থানে তারা জন্মগ্রহণ করেন, সেই স্থান-কাল সাধারণত তাদের বিকাশের পথকে পুষ্পময় করে না; বরং প্রায় সময় হয়ে ওঠে বৈরী। এই বৈরী সময়কে অস্বীকার নয়, অতিক্রম করার মানসেই নিবেদিত হয় তাদের কর্মযজ্ঞ।
সমাজ মানস গঠন পরিবর্তনের লক্ষে এভাবেই তাঁরা অবদান রাখেন। মৃত্যুর পর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নবতর উপলব্ধি নতুন সময় তাদের নৈর্ব্যক্তিক মূল্যায়নে আমাদের সহায়তা করে চিন্তায় ও কীর্তিতে।
কম দেখান