শোষিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির জন্য সপরিবারে জীবন উৎসর্গকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষিত অতুলনীয় দেশপ্রেমই এই কবিকে পৌঁছে দেয় মানবিকতার মহাসমুদ্রে। অবলীলায় তিনি অতিক্রম করে যান দেশ-কালের সব সীমা ও সংকীর্ণতা। গভীর একাগ্রতায় তিনি তাঁর নিরাবয়ব সময়কে দেখেন, দেখেন যুধ্যমান রক্তপিপাসু পরিপার্শ্বকে—যার লাটাই অপরিণামদর্শী কিছু মানুষের হাতে।...
আরো পড়ুন
শোষিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির জন্য সপরিবারে জীবন উৎসর্গকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষিত অতুলনীয় দেশপ্রেমই এই কবিকে পৌঁছে দেয় মানবিকতার মহাসমুদ্রে। অবলীলায় তিনি অতিক্রম করে যান দেশ-কালের সব সীমা ও সংকীর্ণতা। গভীর একাগ্রতায় তিনি তাঁর নিরাবয়ব সময়কে দেখেন, দেখেন যুধ্যমান রক্তপিপাসু পরিপার্শ্বকে—যার লাটাই অপরিণামদর্শী কিছু মানুষের হাতে। বিপুল বেদনা, বিস্ময় ও বিহŸলতা নিয়ে ঘুরে বেড়ান ধর্ম, দর্শন, পুরাণ ও ইতিহাসের জটিল গোলকধাঁধায়। আর অনিবার্যভাবে ফিরে আসেন আরশিনগরের সেই পড়শির কাছে। সর্বসত্তা পেতে তাকে খোঁজেন। খোঁজেন ভালোবাসা নামের সেই পরশপাথর—যার স্পর্শে লুপ্ত হয়ে যায় হিংসা ও হানাহানির যত আদিম অন্ধকার।
তাই উচ্চকিত, স্লোগানসংক্ষুব্ধ সময়ের কবি হয়েও নিজস্ব স্বভাবের মতোই শান্ত ও নির্জন তাঁর কণ্ঠস্বর। শান্ত অথচ দৃঢ়, নির্জন তবু প্রান্তরে প্রতিধ্বনিময়। নিভৃতচারী হলেও নিরন্তর নিরীক্ষা এবং নিজেকে অতিক্রমণের প্রবল প্রয়াস তাঁকে করে তুলেছে বাংলা কবিতার বিশিষ্ট এক কণ্ঠস্বর। সহজতা ও সুদূরতা, অস্তিত্ব ও অস্তিত্বহীনতা এবং মৃত্যু ও মৃত্যুহীনতা হাত ধরাধরি করে চলে তাঁর কবিতায়। তবে প্রায়শ সব কিছুকে ছাপিয়ে ওঠে পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণ ও ধূলিকণার জন্য অনন্য এক মমত্ববোধ।
চারপাশের তীব্র ধূলিঝড়ের মধ্যেও তাই এ কবিকে আলাদাভাবে চেনা যায় তাঁর কবিতার প্রাণে ও প্রকরণে
কম দেখান